বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : আমার ছেলে আমেরিকায় থাকে। নিয়মিত নামাজ পড়ে না। বললে পড়ে, আবার ছেড়ে দেয়। শুনেছি মাঝে মাঝে মদও পান করে। তার পাঠানো টাকায়ই আমি চলি। আমার কী করা উচিত? কবরের আজাব থেকে আমি রক্ষা পাবো কি না?

শোয়েব আহমদ
কানাইঘাট, সিলেট।

প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:১১ এএম

উত্তর : আপনার জন্য ছেলের পাঠানো টাকা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ জায়েজ। যদি সে নামাজ না-ও পড়ে, মাঝেমধ্যে মদও পান করে। যদি আপনি তার উপার্জন হালাল হওয়ার ব্যাপারে সন্দিহান না হন, তাহলে নির্দ্বিধায় তার টাকা ব্যবহার করবেন। যদি তার কামাই হালাল-হারাম মিশ্রিত হয়, তাহলে আপনি হালাল অংশ থেকে নিচ্ছেন ভেবে তার টাকা নিন। নামাজের জন্য তাকে বলতে থাকুন, মদ পান না করার জন্যও নরম স্বরে উপদেশ দিন। দিল খুলে আল্লাহর নিকট তার সুমতির জন্য দোয়া করুন। চেষ্টা করুন, যেন সে সৎসঙ্গ গ্রহণ করে। পিতার দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন। দ্রুত না হোক, দু’দিন পর। আপনার দোয়া বৃথা যাবে না। কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাকুন। অতীত গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইতে থাকুন। বিশেষ করে রোজা ও কোরআন তিলাওয়াত কবরকে আলোকিত রাখে। ওজু-গোসল ঠিকমতো না করলে কবরের আযাব হয়। এসব খেয়াল করে চলুন, ভালো আলেমের সঙ্গ ও উপদেশ নিয়ে চলতে থাকুন। ছেলেকে তার নাবালক অবস্থায় ইসলামি মূল্যবোধ শিক্ষা না দিয়ে থাকলে তার বর্তমান ভুলত্রুটির জন্য আপনাকেও কিছু গুনাহের দায় নিতে হবে। এ জন্য তওবা ও সংশোধনের ব্যবস্থা নিন। আর আপনি ছোটবেলা চেষ্টা করে থাকলে বর্তমানে আপনার আর কোনো গুনাহ হবে না। বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে তাদের গুনাহর দায় তারাই বহন করে থাকে।

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
আবু নোমান ৮ আগস্ট, ২০১৮, ২:৫৯ এএম says : 1
এত সুন্দর ও সাবলীলভাবে বিষয়টির উত্তর দেয়া জন্য হুজুরকে ধন্যবাদ
Total Reply(0)
ইয়াসমিন ৮ আগস্ট, ২০১৮, ৩:০০ এএম says : 1
এই সমস্যাটা অনেকেরই হচ্ছে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন