ইনকিলাব ডেস্ক : বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৈরি একটি কৃত্রিম দ্বীপে নবনির্মিত বিমানবন্দরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে একটি চীনা সামরিক বিমান অবতরণ করেছে। গত সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। এতে ওই কৃত্রিম দ্বীপটিতে চীনের সামরিক বিমান ঘাঁটি গড়ে তোলার সম্ভাবনা আছে এমন ভাবনা আরো জোরালো হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ তৈরির সমালোচনা করে দ্বীপটি সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে বেইজিংয়ের সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। যদিও চীন বলেছে, দ্বীপ বানানোর পেছনে শত্রুতার কোনো ইন্ধন নেই।
দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের প্রবাল প্রাচীর ও অ্যাটলে ড্রেজিং করে বালু ফেলে দ্বীপটি তৈরি করেছে চীন। খবরে বলা হয়, ফেইরি ক্রস রিফের এই বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার মিটার। গত জানুয়ারি থেকে এই দ্বীপে নির্মিত বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রী বিমান চলাচল করছে। এই বিমানবন্দরটির রানওয়েটি দূরপাল্লার বোমারু বিমান অবতরণের পক্ষে উপযোগী। পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করে এই দ্বীপটি নির্মাণ করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র বিরোধপূর্ণ জলসীমায় এই কৃত্রিম দ্বীপ স্থাপনের নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে চীন জানিয়েছে তাদের কোনও হিংসাত্মক পরিকল্পনা নেই। গেল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই দ্বীপে তিনটি রানওয়ে তৈরি করেছে দেশটি। এগুলোর মধ্যে ফায়ারি ক্রস রিফের তিন হাজার মিটার দীর্ঘ রানওয়েতে চীনা সামরিক বিমানটি অবতরণ করেছে।
জানুয়ারি থেকেই এই রানওয়েতে বেসামরিক বিমানের পরীক্ষামূলক অবতরণ করানো হচ্ছিল। প্রথম পাতায় ছাপানো এক খবরে চীনা সামরিক বাহিনীর মুখপত্র দৈনিক পিপলস লিবারেশন আর্মি জানিয়েছে, গত রোববার দক্ষিণ চীন সাগরে টহলরত একটি সামরিক বিমান তিনজন গুরুতর অসুস্থ শ্রমিককে সরিয়ে নেয়ার জরুরি অনুরোধে সাড়া দিয়ে ফায়ার ক্রস দ্বীপে অবতরণ করেছিল। অসুস্থ শ্রমিকদের সামরিক পরিবহন বিমানটিতে করে চিকিৎসার জন্য হাইনান দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবরে জানানো হয়। খবরের সঙ্গে হাইনান দ্বীপে অবতরণ করা পরিবহন বিমানটির একটি ছবিও দেওয়া হয়। ফায়ার ক্রস দ্বীপে কোনো বিমান অবতরণের কথা এই প্রথম চীনা সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে স্বীকার করলো বলে জানিয়েছে গ্লোবাল টাইমস ট্যাবলয়েড। দ্য গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন