জর্ডানে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলিতে চার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বাকি ৩ জন বন্দুকধারী। বন্দুকধারীরা বোমা দিয়ে নিজেদের ভবন উড়িয়ে দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে দেশটির সল্ট শহরের একটি ভবনে থাকা সশস্ত্র বন্দুকধারীদের সঙ্গে ওই বন্দুকযুদ্ধ হয় পুলিশের।
জর্ডান সরকারের মুখপাত্র জুমানা ঘুনাইমাত-এর বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, রোববার এই বন্দুকযুদ্ধ শেষে ৫ বন্দুকধারীকে আটক করে পুলিশ। যে ভবনটিতে এই গোলাগুলি হয় সেটি বন্দুকধারীদের একটি আস্তানা ছিলো বলে সন্দেহ দেশটির পুলিশের। তিন তলা ওই ভবনটিতে থাকা বন্দুকধারীদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করে বলে দাবি করেন জুমানা। তিনি জানান, ‹সন্দেহভাজন বন্দুকধারীরা আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। উল্টো তারা নিরাপত্তা বাহিনীর একটি যৌথ দলের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপরই পুলিশ ভবনটি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে›। এক পর্যায়ে যৌথবাহিনী ভবনটিতে অভিযান শুরু করলে বন্দুকধারীরাই বোমা দিয়ে ভবনটি উড়িয়ে দেয়। তবে এখনও ধ্বংসস্তুপকে ঘিরে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং সেখানে কোন বেসামরিক লোক আটকা পরেছেন কি-না, তা দেখা হচ্ছে বলে জানান জুমানা। এ ঘটনায় এখনও কোন সংগঠন দায়ভার স্বীকার করেনি। তবে দেশটির সামরিক শাখার একটি নিউজ ওয়েবসাইট ‹দ্য হালা আকবার› থেকে বলা হয় যে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীরা সকলেই জর্ডানের নাগরিক।
এদিকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী ওমর আল রাজ্জাজ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ এবং গোঁড়া চিন্তাধারণার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জর্ডান সবসময়ই আগে থাকবে। যারা নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ক্ষুন্ন করে তাদের বিরুদ্ধে জর্ডান নমনীয় হবে না›। সা¤প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে জর্ডান। সিরিয়া এবং ইরাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠন আইএস এর সাথে সমঝোতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল জর্ডান। -আলজাজিরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন