পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের একটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে বিস্ফোরণে অন্তত দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে আটটার দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে নারায়ণগড়ের মকরামপুর কার্যালয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আহত অপর তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কলকাতাভিত্তিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এখবর জানিয়েছে।
তৃণমূলের একটি আঞ্চলিক অফিসে বিস্ফোরণ। ছবি আনন্দবাজার পত্রিকা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের সময় অফিসের ভেতরে তৃণমূলের মকরামপুর অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মী শিট এবং এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা সূর্যকান্ত অট্ট ছিলেন। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন বিষয়ে তরা পার্টি অফিসের একটি কক্ষে বৈঠক করছিলেন। ওই ঘরের পাশে রান্নাঘর রয়েছে। বৈঠক চলা সময় ওই রান্নাঘরেই বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই রান্নাঘরসহ পার্টি অফিসের বেশিরভাগ অংশই ভেঙে যায়। পার্টি অফিসের ছাদ উড়ে গিয়েছে। আশেপাশের কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের আকস্মিকতা কাটার পরই স্থানীয়েরা উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পার্টি অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন খড়গপুরের বাসিন্দা সুদীপ্ত ঘোষ নামে তৃণমূলের এক কর্মী। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আরও একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তারও মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতিও গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সকালে বিস্ফোরণ ঘটেছে। নানারকম খবর শুনতে পাচ্ছি। আমাদের ছেলেরা মারা গিয়েছেন। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গিয়েছে। দলীয় স্তরে খোঁজ নিচ্ছি।’
তবে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বিরোধীরা শুধু গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মানতে নারাজ। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়েছে তৃণমূল। এজন্য ওই পার্টি অফিসে কয়েকদিন ধরেই প্রচুর পরিমাণে বোমা মজুত করে রাখছিল তৃণমূলের কর্মীরা। কোনও কারণে ওই মজুত বোমাই ফেটে গেছে। আর তা থেকেই গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন