শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ

মরিয়া তৃণমূল : একজনের কান কর্তন, সিপিএম এজেন্ট নিহত

প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় দফায় বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। কলকাতার ৭টি কেন্দ্রসহ ৬২টি কেন্দ্রে নির্বাচন শুরু হয়। উত্তর কলকাতার যেসব কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে সেগুলো হলো, চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকর, মানিকতলা, কাশিপুর এবং বেলগাছিয়া। এখানকার তারকা প্রার্থীরা হলেন, কংগ্রেসের সাধন পান্ডে, স্মিতা বকসি, মালা সাহা, সাবেক মন্ত্রী দেবেশ রায়, সোমেন পান্ডে, বিজেপি সভাপতি রাহুল সিংহ প্রমুখ। কলকাতা ছাড়াও মুর্শিদাবাদে আছে ২২টি কেন্দ্র, বর্ধমানে ১৬টি ও নদিয়ায় ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সকাল থেকে সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রগুলোয় হাজির হতে থাকে, যথা সময়ে নির্বচান শুরু হলেও অতি দ্রুত বিভিন্ন কেন্দ্র হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়ে। সিংহভাগ জোরজবরদস্তি ও হামাঙ্গার জন্য শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেই গোলযোগের জন্য দায়ী করে সাধারণ মানুষ। নির্বাচনী হাঙ্গামায় মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের বেপরোয়া বোমাবাজিতে সিপিএম প্রার্থী আনিসুর রহমানের এজেন্ট তহিদুল মন্তল নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুই জন। তাদের পাঠানো হয়েছে বহরমপুরের হাসপাতালে। ডোমকলেরই দক্ষিণনগরে বোমায় জখম হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। ডোমকল এমনিতেই মুর্শিদাবাদের স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। তার মধ্যে এ বার দীর্ঘদিনের বাম বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ডোমকলে লড়ছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি মান্নান হোসেনের পুত্র সৌমিক হোসেন। ফলে, ডোমকলের উত্তেজনা এ বার এমনিতেই বেশি। কংগ্রেস এবং বামদের অভিযোগ, ডোমকলের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করেছে তৃণমূল। শিরোপাড়ায় ভোটারদের বুথে যেতে তৃণমূল বাধা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেস এবং বামেরা এর প্রতিবাদ করে। তাতেই শুরু হয়ে যায় গোলমাল। বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তেজনা বাড়তেই ব্যাপক বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূল। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার আঘাতে জখম হয়ে বুথ চত্বরেই মৃত্যু হয় বামদের এজেন্ট তহিদুল ম-ল। বোমার আঘাতে যে দু’জন জখম হয়েছে, তাদের অবস্থাও গুরুতর। গোলযোগের এক পর্যায়ে এক বামকর্মীর কান কেটে ফেলেছে শাসক দলের লোকেরা।
এদিকে, ভোট শুরুর আগে থেকেই কলকাতা এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এলাকায় মরিয়া হয়ে বুথ দখলের চেষ্টা করে তৃণমূল। বেলেঘাটা এবং বেলগাছিয়া সবচেয়ে উত্তপ্ত ছিল। বেলেঘাটায় বিভিন্ন বুথ থেকে সিপিএমের এজেন্টদের বার করে দেওয়া শুরু হয় চলেছে মারধরও। বেলগাছিয়াতেও অন্তত ৫টি বুথে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেয় না তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম হালদার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাম এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেন বলে জানা যায়। তবে পুলিশি তৎপরতায় বেলগাছিয়ার সব বুথেই শেষ পর্যন্ত ঢুকতে পেরেছেন বাম এজেন্টরা। মুর্শিদাবাদেও গোলমালের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণণূলের বিরুদ্ধে। সেখানে হরিহরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বর্ধমানের কেতুগ্রামে ৩টি বুথে বাম এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নদিয়ার গয়েশপুরেও দুই বাম এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবিপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন