ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানকে এটা স্বীকার করতেই হবে যে দেশটির বিভিন্ন রণাঙ্গনে তালিবান বিজয় অর্জন করে চলেছে। এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে সিএনএন সাংবাদিক নিক প্যাটন ওয়ালশ এ কথাই বলেন। গত মঙ্গলবারও কাবুলে আত্মঘাতী ট্রোকবোমা হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে নিহত হয় ৩০ জন এবং বুধবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ৬৪ তে পৌঁছায়। ২০০১ সালে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর রাজধানীতে এটাই তাদের বড় ধরনের হামলা ও হতাহতের ঘটনা।
মার্কিন কর্মকর্তারা এখন স্বীকার করছেন, ২০১৪ সালে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর দায়িত্ব ছেড়ে আসার পর থেকে তালিবান প্রতিরোধে আফগান বাহিনীই সক্ষম বলে তারা যে মন্তব্য করে আসছিলেন, তা আসলে কৌশলগত ভুল ছিলো। তাদের এসব কথারই সমর্থন মেলে আরেকটি পরিসংখ্যানে, তা হচ্ছে- ২০১৫ সালে তালিবান যোদ্ধাদের হাতে সাড়ে পাঁচ হাজার আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে। একই সময়ে তাদের হাতে সাড়ে তিন হাজার সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে। এটি জাতি সংঘের জরিপ প্রতিবেদন। দুই-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আহতাবস্থার কারণে তালিবান বিরোধী অভিযানে অংশ নিতে পারেনি।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ২০০১ সালের তুলনায় আফগানিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা তালিবানের নিয়ন্ত্রণে। তালিবানের বর্তমান বিজয় আলোচনায় না বসার ব্যাপারে তাদের মানসিক শক্তি যোগাচ্ছে।
এর আগে মার্কিন ও আফগান কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা সাধারণ নাগরিকদের ওপর ছোটখাটো হামলা চালাচ্ছে। এগুলো বড় ধরনের কোনকিছু নয়। কিন্তু মঙ্গলবারের হামলার পর তাদের নতুন করে ভাবতে হবে। হেলমান্দের রাজধানীর জন্য তালিবান হুমকি হয়ে উঠছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর এমন তথ্যে সত্ত্বেও কাবুল সরকার বিষয়টি স্বীকার করছে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, এাঁ কাবুলের কৌশলগত ভুল, যা তালিবানকে আরও শক্তিশালী করে দিচ্ছে।
মূলত আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিস্থিতি ন্যাটো কমান্ডারদের ধারণার চেয়ে এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে যতোটা শক্তিশালী ভাবা হয়েছিলো, আসলে তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তারা দিনের পর দিন তালিবান যোদ্ধাদের হাতে মার খাচ্ছে। কাবুল সরকার না পারছে এাঁ অস্বীকার করতে, না পারছে বলতে- ঠিক এমনই একটা পরিস্থিতি এখন আফগানিস্তানে। সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন