নিউজিল্যান্ডের একটি গ্রামে বিড়াল পালন নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিড়ালের কারণে প্রতি বছর কোটি কোটি পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা যাচ্ছে এমন প্রমাণ পাওয়ার পর এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপক‚লের ছোট্ট একটি শহর ওমাউইয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামটিতে বন্য প্রাণী রক্ষার চেষ্টা হিসেবে চরম এক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এনভায়রনমেন্ট সাউথ-ল্যান্ড-এর প্রস্তাবিত এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ওমাউইতে যত বিড়াল প্রেমী আছেন তাদের বিড়ালকে বন্ধ্যা করতে হবে। বিড়ালের শরীরে মাইক্রোচিপ বসাতে হবে এবং বিড়ালকে নিবন্ধিত করতে হবে। তাদের পোষা বিড়ালের মৃত্যু হলে ওই স¤প্রদায়ের বিড়াল প্রেমী লোকজন নতুন করে বিড়াল পালনের অনুমতি পাবেন না। উদ্যোক্তাদের যুক্তি- প্রতিবছর কোটি কোটি পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যুর জন্য দায়ী এসব বিড়াল। সেখানকার একটি পাখি সংরক্ষণাগার দ্যা স্মিথসোনিয়ান মাইগ্রেটরি বার্ড সেন্টারের প্রধান ডক্টর পিটার মারা এ বিষয়ে অনেক গবেষণাপত্র ও বই লিখেছেন। যদিও তার সম্পর্কে বিতর্কিত ধারণা প্রচলিত আছে। তবে তিনি বলেন, তিনি বিড়াল বিদ্বেষী নন কিংবা বিড়াল পালনের বিপক্ষেও নন। বিবিসিকে তিনি বলেন, বিড়াল চমৎকার পোষা প্রাণী, দেখতেও দারুণ! কিন্তু তাই বলে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতে দেয়া যাবে না। এটাই অবধারিত সমাধান। কর্মকর্তারা বলছেন, ওমাউইতে এই পদক্ষেপ যথাযথ। কারণ ক্যামেরায় দেখা গেছে যে, ঘুরে বেড়ানো বিড়ালেরা ওই এলাকার পাখী, পোকা-মাকড় এবং সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী শিকার করছে। শুধু নিউজিল্যান্ড নয় অস্ট্রেলিয়াতেও বিড়ালের কারণে অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন