বিশ্বের প্রথম এক লাখ কোটি ডলার মূল্যমানের প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠা অ্যাপেল বুধবার সামনে এনেছে নতুন তিনটি মোবাইলফোন। ওই একই অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটি বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের অ্যাপেল ওয়াচের। নতুন এই অ্যাপেল ওয়াচে রয়েছে ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) করার ব্যবস্থা। পরিধানকারী যেকোনও সময় তার ঘড়ি ব্যবহার করেই জানতে পারবেন হৃৎপিণ্ডের অবস্থা। ইসিজির পাশাপাশি এই ঘড়িতে রয়েছে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলে তা সনাক্তের প্রযুক্তি। ঘড়িটি এমন অবস্থায় জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য নিজেই যোগাযোগ শুরু করতে সক্ষম। তাছাড়া এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন হিসেবে পরিচিত হৃৎপিণ্ডের মারাত্মক রোগের লক্ষণ সনাক্ত করতে পারবে অ্যাপেল ওয়াচ। খবর গার্ডিয়ান।
জানা গেছে, চতুর্থ প্রজন্মের অ্যাপেল ওয়াচের সর্বনিম্ন মূল্য এখন চারশ ডলার।
অ্যাপেল ওয়াচে আগে থেকেই ছিল হার্ট রেট অ্যালার্ট ফিচার। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘লো হার্ট রেট অ্যালার্ম’, অনিয়মিত হার্ট রেটের লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক করার ব্যবস্থা ও ইসিসজি করার ব্যবস্থা। অ্যাপেলের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিওও জেফ উইলিয়ামস মন্তব্য করেছেন, ‘এটি প্রথম ইসিজি করার যন্ত্র যা ক্রেতাদের সরাসরি ব্যবহারের জন্য বাজারে আনা হয়েছে। আমরা ঘড়ির পেছনে সেন্সর যুক্ত করে দিয়েছি, যা দিয়ে আপনি যেকোনও সময় ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম করতে পারবেন।’যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমতি পেয়েছে ঘড়িটি।
অ্যাপেল ওয়াচের চতুর্থ সংস্করণটি ‘পড়ে যাওয়া’ সনাক্ত করতে পারে। অর্থাৎ হাতে ঘড়ি পরে থেকে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে মেঝতে পড়ে যায় তাহলে তা সনাক্তের প্রযুক্তি রয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের অ্যাপেল ওয়াচে। যখন কেউ উল্টে পড়ে, তখন হাতসহ শরীরের অন্যান্য নড়াচড়া হয় এক রকম আর অসুস্থ হয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শারীরিক নড়াচড়া হয় আরেক রকম। শরীরের নড়াচড়া সংক্রান্ত অজস্র তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অ্যাপেল ওয়াচ। ‘পড়ে যাওয়ার’ এক মিনিটের মধ্যে নড়াচড়া না করলে সঙ্গে সঙ্গে জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য নিজে থেকেই যোগাযোগ শুরু করবে ঘড়িটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন