রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

৪ সহস্রাধিক আইএস জিহাদির তথ্য প্রকাশ করেছে সিটিসি

প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সুন্নিপন্থি সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর কয়েক হাজার গোপন নথি প্রকাশ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর কমব্যাটিং টেরোরিজম সেন্টার (সিটিসি) এসব নথি প্রকাশ করেছে। প্রকাশ হওয়া নথিতে ২০১৩-২০১৪ সালে আইএসে যোগ দেওয়া ৪ হাজার ১৮৮ জন জিহাদির ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছে সিটিসি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এই তথ্য জানিয়েছে। সিটিসি জানায়, এসব নথিতে আইএসে যোগ দেওয়া প্রত্যেক জিহাদির আসল নাম, যুদ্ধের নাম, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জিহাদি অভিজ্ঞতা ও জাতীয়তাসহ প্রচুর তথ্য রয়েছে। আইএসে যোগদানের পূর্বে যে আবেদন ফরম পূরণ করা হতো তাও রয়েছে ফাঁস হওয়া নথির মধ্যে। রয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটির আরও বেশ কিছু তথ্য। আইএসে যোগ দেওয়ার সময় প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হতো তিনি কী হতে চান। আইএস সদস্যদের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে যোদ্ধা, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ও আত্মঘাতী যোদ্ধা। আইএসে যোগ দেওয়া বেশিরভাগই আত্মঘাতী যোদ্ধা হতে চেয়েছেন।
ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে সিটিসি জানিয়েছে, সবচেয়ে যোদ্ধা যোগ দিয়েছেন সউদি আরব থেকে। তালিকায় ২৬ জন ব্রিটিশ যোদ্ধার কথা পাওয়া গেছে। জার্মানি ও ফ্রান্স থেকে যোগ দেওয়া জিহাদির সংখ্যা আরও কম। তালিকায় তিন প্যারিস হামলাকারীরও নাম রয়েছে। তবে অনেক জিহাদির দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় যুক্তরাজ্য থেকে যোগ দেওয়া জিহাদির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৭। এদের মধ্যে অনেকেই সিরিয়া গিয়ে আইএসে যোগ দেয়ার আগে যুক্তরাজ্যে বসবাস করতেন। আইএসে যোগ দেওয়াদের গড় জন্ম সাল ১৯৮৭। যোগ দেওয়ার সময় এদের বেশিরভাগেরই বয়স ছিল ২৬-২৭। দেশভেদে জিহাদিদের বয়সের বেশ পার্থক্য রয়েছে। যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, জার্মানি, বেলজিয়াম, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে যোগ দেওয়া জিহাদিরা অপেক্ষাকৃত তরুণ। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, রাশিয়া ও চীন থেকে যারা যোগ দিয়েছেন তাদের বিভিন্ন সময় যুদ্ধে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা আছে। সিটিসির দাবি, এসব তথ্য শতভাগ সঠিক। আইএসকে বুঝতে এবং বিদেশিদের জঙ্গি সংগঠনটিতে যোগদানের বিষয় পর্যালোচনার জন্য এসব নথি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নথি পর্যালোচনাকারীরা জানান, এর মধ্য দিয়ে জানা যাবে কীভাবে আইএস তরুণদের সংগঠনে যোগদানে উৎসাহিত করছে। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন