খাল খনন করে কৃষ্ণ সাগর ও মারমারা সাগরকে যুক্ত করার তুর্কি পরিকল্পনাকে ঘিরে থাকা অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। ইস্তাম্বুল খাল বাস্তবায়নের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন দেশটির পরিবেশমন্ত্রী মুরাদ কুরুম। তুর্কি মুদ্রার দরপতন ও সেই সূত্রে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও খাল খনন কর্মসূচি শুরু করতে চায় দেশটি। খবর হুররিয়াত ডেইলি।
পত্রিকা জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর লিরার দর সংক্রান্ত অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়নে নতুন সরকারি প্রকল্প মুলতবি রাখার ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। ইস্তাম্বুল খাল বাস্তবায়ন নিয়ে তাই দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। ১৫ সেপ্টেম্বর পরিবেশ ও নগরায়নমন্ত্রী কুরুমের ঘোষণায় এটা স্পষ্ট, যে লিরার এই নাজুক অবস্থাতেও খাল খনন করে দুই সাগরকে যুক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে দেশটি।
মন্ত্রী মুরাদ কুরুম বলেছেন, ‘ক্যানেল ইস্তাম্বুল আমাদের মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত প্রথম একশ দিনের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আমাদের এখন কাজ হচ্ছে, খালের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করে নির্মাণকারীদের বুঝিয়ে দেওয়া।’ ইস্তাম্বুল খাল কৃষ্ণ সাগর ও বসফরাস প্রণালির পশ্চিমে থাকা মারমারা সাগরকে যোগ করবে । এর দৈর্ঘ হবে ৪৫ কিলোমিটার। এ বছরেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
হুররিয়াত ডেইলি লিখেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে একশ কোটি ডলার ব্যায়ের কথা একসময় জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ হিসেব লিরার দর পতনের আগে প্রাক্কলিত। ডলারের বিপরীতে প্রায় ৪০ শতাংশ মূল্য হারানো লিরার বর্তমান পরিস্থিতিতে নিশ্চিতভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ বেড়ে যাবে বহু গুণ। এমন কি যদি আগের বিনিময় হারের হিসেবেও খরচ প্রাক্কলন করা হয় তাহলেও দ্বিগুণ খরচ হওয়ার কথা হওয়ার কথা। মিডিল ইস্ট মনিটর প্রকল্পের মোট ব্যয় হিসেবে এক হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কথা উল্লেখ করেছে।
মন্ত্রী কুরুমের ভাষ্য থেকে জানা গেছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তুর্কি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং ইস্তাম্বুল মেট্রোপলিটান কর্তৃপক্ষও যুক্ত থাকবে। খালের এক প্রান্ত শুরু হবে লেক কুকুকমেকসেকে। লেকটি এক সময় মারমারা সাগরের অংশ ছিল। আরেক প্রান্ত যাবে কৃষ্ণ সাগরে। এরদোয়ান ২০১১ সালে প্রথম এই খাল খননের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রকল্পটির ২০১৬ সালে শুরু হওয়ার কথা ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন