ইনকিলাব ডেস্ক : জাপান প্রথমবারের মতো গোয়েন্দা জেট বিমানের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এক্স-২ নামের শত্রুপক্ষের রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এই বিমানের পাইলট জানান, মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি এই বিমান চমৎকারভাবে কাজ করছে। দুই ইঞ্জিনের এই গোয়েন্দা বিমান জাপানের জাতীয় রং লাল ও সাদা দিয়ে সজ্জিত করা হয়। নাগয়া বিমানবন্দর থেকে এর পরীক্ষা চালানো হয়। কয়েকবার পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পর বিমানটি জাপান এয়ার সেলফ-ডিফেন্স-এর গিফু বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। জাপানের নতুন এই প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা চীনের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে পেশিশক্তির মহড়া চলে আসছে বহুদিন থেকে। ২০১৬ সালে সামরিক খাতে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়ে চীন তার পেশিশক্তি বজায় রেখেছে।
এফসি-৩১ নামে চীনেরও গোয়েন্দা বিমান রয়েছে। তবে, এই বিমানের প্রকৌশলগত ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। চীনের ফিফত জেনারেশনের জে-২০ নামের বিমানটিকেও গোয়েন্দা বিমান হিসেবেই ভাবা হয়। মনে করা হচ্ছে, ২০১৮ সালের মধ্যে এটি পুরোপুরিভাবে চীনের বিমান বাহিনীর বহরে যোগ দেবে।
জাপানের গোয়েন্দা বিমান উন্নয়ন কার্যক্রম ইতিমধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ে আরেকটি জটিলতা সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কোরীয় উপদ্বীপ ও উত্তর এশিয়া থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কর্মকা- নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে যা কিছুই হোক না কেন, ওয়াশিংটন এটা জানে যে, ওই অঞ্চলে জাপানই তার প্রধান ঘাঁটি। মিতসুবিশি বলছে, ভবিষ্যতে এই বিমানের আরও উন্নয়নের চিন্তাভাবনাও তাদের রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আরও কয়েক দশক আগেই এ ধরনের বিমান তৈরি করেছে। তাদের বি-২ স্পিরিট বোমারু, এফ-২২ র্যাফটর ও এফ-৩৫ লাইটিং টু ফাইটার্স এই প্রযুক্তিরই বিমান। তবুও রাডার ফাঁকি দেয়া বিমানের এই প্রযুক্তিকে এখনো অনেক দেশই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন