অনেকদিন পরে পাশাপাশি দাঁড়ালেন বাবা-ছেলে। রোববার দিল্লিতে একই মঞ্চ থেকে বিজেপি উৎখাতের ডাক দিলেন মুলায়ম সিং যাদব এবং অখিলেশ। রাফায়েল ঘটনা তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনেরও দাবি জানানো হয়েছে এস পি-র পক্ষ থেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ভাই শিবপাল যাদব এসপি ছেড়ে নতুন সংগঠন গঠনের পরে তাকেও বার্তা দেওয়া হল পিতা-পুত্রের পক্ষ থেকে। বুঝিয়ে দেওয়া হল, অখিলেশের নেতৃত্বে দল সংঘবদ্ধ, এবং মুলায়মের পূর্ণ ভরসা ও সমর্থন রয়েছে পুত্রের উপর। অখিলেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে দলত্যাগের পর রবিবারই শিবপাল বলেছিলেন, তাঁর গড়া নতুন ফ্রন্ট যাদব পরিবারের সবার বিরোধিতা করবে, একমাত্র ‘নেতাজি’ অর্থাৎ মুলায়ম ছাড়া। প্রায় এক মাস ধরে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় চলেছে এসপি-র সাইকেল প্রচার, যার থিম হল ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’। আগেই স্থির হয়েছিল, ২৩ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে সমাবেশ করা হবে।
সূত্রের খবর, শনিবার রাত পর্যন্ত সমাবেশের জন্য পুলিশের প্রয়োজনীয় অনুমতি জোগাড় করতে পারেননি অখিলেশ। অনেক টালবাহানার পরে তা পাওয়া যায়। গাজিয়াবাদ সীমান্ত দিয়ে সাইকেলে এসপি কর্মী-সমর্থকদের ঢোকার সময় বিক্ষিপ্ত গোলমালও হয়। মঞ্চ থেকে রাফায়েল বিতর্ক নিয়ে সরব হয়েছিলেন অখিলেশ। তাঁর দাবি, চুক্তির তদন্ত করার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হোক। কারণ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
অখিলেশ বলেছেন, “এই সরকার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশের মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। মোদী সরকারকে সহ্য করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কৃষকরা আত্মহত্যা করছেন। যুবকদের চাকরি নেই। ছোট ব্যবসাগুলি মার খেয়েছে জিএসটি এবং নোট বাতিলের পরে। এ দিকে যুবকদের পকোড়ার দোকান খুলতে পরামর্শ দিচ্ছে মোদী সরকার! আমি খুশি যে, যুব শক্তির এক বড় অংশ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমাদের দল যুব শক্তির প্রতীক। আজ যারা ক্ষমতায়, তারা দেশকে ভাঙতে চায়।”
ছেলের কথার সূত্র ধরে মুলায়মও বলেছেন, “আমি চাই, সমাজবাদী পার্টি যেন কখনওই বুড়ো না হয়। আজ এত যুবক দেখে আমি আশাবাদী। বিজেপির মতো মিথ্যা আশ্বাস আমরা দিই না।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন