শহরাঞ্চল বিশেষ করে ঢাকা শহরের বেশিরভাগ মানুষ অফিসে কাজ করেন। আবার বেশিরভাগের কাজের ধরন বসে থাকা। তাই শহরাঞ্চলে ঘাড় বা কোমর ব্যথার রোগীর পরিমান বেশি। বসে থাকার ফলে আমাদের ঘাড় পিঠ বা কোমরের মাংসপেশিগুলি স্থবির হয়ে যায়। ফলে সামন্যতেই ঘাড়ে বা কোমরে টান লাগে এবং ব্যথা শুরু হয়।
ঘাড় ব্যথার ধরনঃ প্রথমে অল্প অল্প ব্যথা থেকে তীব্র ব্যথা শুরু হতে পারে আবার হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হতে পারে। অনেকের ব্যথা কেবল ঘাড়েই সীমাবদ্ধ থাকে। অনেকের ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যায়। হাত ঝিঁঝিঁ ধরে। অনেকের মাথা ঘোড়ে অথবা পিঠের দিকে ব্যথা চলে যায়। অফিসের কাজ, বিশেষ করে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন অথবা সামনে ঝুকে কাজ করেন তারাই এই ব্যথায় বেশি ভোগেন। ব্যথা শুরুর পর অনেকেই বিশ্রাম নিতে পারেন না বা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ না করেই ব্যথা নাশক সেবন করে ব্যথা দমিয়ে রাখেন। প্রথমদিকে ব্যথানাশক কাজ করলেও পরে ব্যথানাশক কাজ করেনা এবং ব্যথা তীব্র আকার ধারন করে।
কোমর ব্যথার ধরনঃ যারা দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কাজ করেন তাদের কোমরে ব্যথা বেশি হয়। অনেক সময় ব্যথা কোমর থেকে পায়ে চলে যায়। হাতের মত পায়েও ঝিঁঝিঁ ধরে। বসে দাঁড়িয়ে এমনকি শুয়ে থাকতেও সমস্যা হয়। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ব্যথা বেশি তীব্র হয়। ব্যথা বেশি তীব্র হলে হাটাচলা এমনকি অফিসে আসাও বন্ধ করে দিতে হয়।
কি করনীয়ঃ মনে রাখা প্রয়োজন, ব্যথা নিজে কোন রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। তাই কোন ব্যথাকেই অবহেলা করা যাবেনা। ব্যথার ঔষধ খেয়ে অল্প অল্প ব্যথা দমিয়ে রাখলে তা পরে তীব্র আকার ধারন করে আপনাকে আরো বেশি বিপদে ফেলে দিতে পারে। তাই ব্যথার কারন নির্নয় পূর্বক প্রযোজ্য চিকিৎসা; ইলেক্ট্রোথেরাপি, ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি বা আইপিএম শুরু করা উচিত। সেই সাথে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ব্যয়াম করতে হবে। ডায়াবেটিস ও কিডনী রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ঔষধ সেবন করা উচিত না।
ডাঃ মোহাম্মদ আলী
চীফ কনসালট্যান্ট
হাসনা হেনা ফিজিওথেরাপি রিসার্চ সেন্টার
বাড়ি-৭, শায়েস্তাখান এভিনিউ, সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা।
মোবাইল- ০১৮৭২ ৫৫৫ ৪৪৪।
ইমেইল: hprc2005@live.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন