চীন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের (সিপিইসি) তিনটি সড়ক অবকাঠামো ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য পাকিস্তানের সাথে তিনটি অনুদান চুক্তি করেছে সউদী আরব সরকার। বৃহস্পতিবার তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাম্প্রতিক সউদী আরব সফরের সময় এই চুক্তিগুলো করা হয়েছে”। সউদী দূত এবং পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রী আরও বলেন, “তিনটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে প্রথম পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এটা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে এটা এগিয়ে নেবে”। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে অবগত করে তিনি বলেন, রোববার সউদী আরবের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফরে আসবে। এ সময় ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে চুক্তিগুলো চূড়ান্ত হবে। মি. চৌধুরী বলেন, উচ্চ পর্যায়ের সউদী প্রতিনিধি দল এবং পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ সময় আরও চুক্তি হবে। এগুলোর মধ্যে রেকো ডিকের স্বর্ণ ও কপারের খনি এবং গোয়াদর বন্দরের তেল পরিশোধনাগারের বিষয়গুলোও থাকবে। সউদী প্রতিনিধি দলে সউদী বিনিয়োগ টিম, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ও জ্বালানি মন্ত্রী থাকবেন। মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফরকালে সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানসহ সউদী নেতৃবৃন্দ অল্পদিনের মধ্যেই চুক্তি চুড়ান্ত করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। যদিও এ ধরণের চুক্তির ক্ষেত্রে অনেক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়”। তথ্যমন্ত্রী বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নির্দেশ দিয়েছেন যাতে পাকিস্তানে বসবাসরত আফগান শরণার্থীদের ব্যাপারে আগামী ২০১৯ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই একটা সার্বিক নীতিমালা তৈরি করা হয়। তিনি বলেন, পাকিস্তানে ২.৫ মিলিয়ন আফগান শরণার্থী বাস করছে। এদের মধ্যে ২ মিলিয়ন রয়েছে নিবন্ধিত এবং বাকিরা কোন ধরণের কাগজপত্র ছাড়াই বাস করছে। তিনি বলেন যে, মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দেশের শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। “সরকার শিগগিরই ১০০ শীর্ষ ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে বড় ধরণের অভিযান শুরু করবে”। মি চৌধুরী বলেন, “এফবিআর পুনর্গঠনের প্রথম ধাপ শেখ হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য অর্থমন্ত্রী আসাদ উমরের কাছে পেশ করা হবে”। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন