ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে ফের গরুর মাংস রান্না করার অভিযোগে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এবার হোস্টেলের কক্ষে গরুর মাংস রান্নার অভিযোগে চার কাশ্মীরি যুবককে মারধর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজস্থান রাজ্যের চিত্তোরগড়ে মেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পর ওই দিনই কয়েকজন কট্টরপন্থি হিন্দু নেতা হোস্টেল প্রাঙ্গণে এসে গোমাংস ভক্ষণের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগেই সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে হোস্টেলের ওই কক্ষে গোমাংস রান্না করা হচ্ছিল কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাংসের নমুনা এরই মধ্যে ফরেনসিক টেস্টে পাঠানো হয়েছে।
চিত্তোরগড় মেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হরিষ গুরনানি জানান, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ছাত্রছাত্রীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে আসেন। ফলে, বিভিন্ন সংস্কৃতির ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা এখানে থাকায় এ ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে। তবে সেসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের উত্তেজনা কিংবা মারধরের ঘটনা অনভিপ্রেত বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিদ্যাপীঠে যদি এ ধরনের ঘটনার সৃষ্টি হয়, তাহলে ভারতের অসহিষ্ণুতার বিষয়টি যে আবার প্রশ্নের মুখে পড়বে এমনটা মনে করছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত বেশ কয়েক মাস আগে বাড়ির ফ্রিজে গরুর মাংস রাখার গুজবে উত্তর প্রদেশের দাদরিতে মোহাম্মদ ইখলাক নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার জেরে ভারতব্যাপী এর পক্ষে-বিপক্ষে এক ধরনের উত্তাপ-উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই উত্তেজনা সামান্য স্তিমিত হওয়ার পর গোমাংস ভক্ষণের অভিযোগে আবারও মারধরের ঘটনায় ফের ভারতজুড়ে সমালোচনার পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন