ইনকিলাব ডেস্ক : সউদি আরবের কাছে মিশরের দুটি দ্বীপ হস্তান্তরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা জনগণকে হুঁশিয়ার করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আস-সিসি। মিশরের জনগণ এ ইস্যুতে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এবং গতকাল সোমবার বড় ধরনের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা করে দেশটির জনগণ। সম্প্রতি সউদি রাজা সালমান মিশর সফরকালে মিশরের সানাফির ও তিরান দ্বীপকে সউদিকে দেয়ার চুক্তি করে সিসির সরকার। এরপর থেকে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে মিশর। তবে সিসির দাবি, দ্বীপ দুটি আদতে সউদি আরবের ছিল। মিশর ছিল শুধু এর পাহারাদার। বিক্ষোভের আগে গত রোববার জেনারেল সিসি টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে বিষয়টি আমরা দেখব। আমি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি- কাউকে সন্ত্রাসী কর্মকা- করতে দেয়া হবে না।
তিনি জনগণকে ‘দুষ্টু শক্তি’র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে দেশকে রক্ষার আহ্বান জানান। সিসি দাবি করেন, উত্তর আফ্রিকার এ দেশটির স্থিতিশীল থাকা দরকার এবং জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে কেউ মিশরের ক্ষতি করতে পারবে না। মিশরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাগদি আবদেল গাফ্ফারও বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হচ্ছে সরকারের জন্য ‘রেড লাইন’ এবং তা ধ্বংসের চক্রান্ত বরদাশ্ত করা হবে না। নিরাপত্তা বাহিনী জন-শৃঙ্খলা বিনষ্টের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে- মিশরের জনগণ দ্বীপ হস্তান্তরের বিরুদ্ধে সারা দেশে সিসির হুমকি উপেক্ষা করে রাস্তায় নামতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সব ধরনের বিক্ষোভ-মিছিল নিষিদ্ধ করেছে। গত ১৫ এপ্রিল এ নিয়ে প্রথম বিক্ষোভ হয়। ওই দিন জুমা নামাজের পর কায়রোর ৩০টি মসজিদ থেকে মুসল্লিরা বিক্ষোভ-মিছিল বের করে। এ নিয়ে এরইমধ্যে মিশরের প্রশাসনিক আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন