বুরকিনা ফাসো ম্যালেরিয়াবাহী মশা নিয়ন্ত্রণে জেনেটিকালি মডিফায়েড মশা ছাড়তে যাচ্ছে । সেখানে জিন পরিবর্তন করা প্রায় ১০ হাজার মশা প্রকৃতিতে ছাড়া হবে। এসব মশার জিন এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যে এদের প্রজননে জন্ম নেওয়া মশাদের ৯০ শতাংশই হবে পুরুষ মশা। এতে করে স্ত্রী মশার জন্মহার কমবে। এ কৌশলের কারণ, শুধু স্ত্রী মশাই ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়াতে পারে। আফ্রিকায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ ম্যালেরিয়া। খবর দি টেলিগ্রাফ।
সূত্র জানায়, আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর বানা গ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষাম‚লকভাবে এ মশাগুলো ছাড়া হবে। যে গবেষণাগার এই প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে গ্রামটি তার কাছেই। এই গ্রাম বেছে নেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, জেনেটিকালি মডিফায়েড মশাগুলো ছাড়ার পর মশার প্রজননে কেমন পরিবর্তন আসে তা বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করবেন। তাদের প্রত্যাশা, এক বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যাবে, এই মশা কতটা কার্যকর।
ঠিক কবে এসব মশা প্রকৃতিতে ছাড়া হবে তা নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। বিজ্ঞানীরা চান, জেনেটিকালি মডিফায়েড এসব মশা এমন সময় ছাড়া হোক, যেন দ্রুত সেগুলো প্রজননের বয়সে পৌঁছে যায়। ম্যালেরিয়াবাহী মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এমন মশাকে হাতিয়ার বানানোর প্রকল্পে বিল-মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন ৭ কোটি ডলারের অনুদান দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন