শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সেমিনারে বক্তারা নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান সাড়ে ৮ লাখ ভ্যাটদাতা ৩২ হাজার

প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশে ইতোমধ্যে ৮ লাখ ৪০ হাজার ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু বছরে মাত্র ৩২ হাজার প্রতিষ্ঠান ভ্যাটের রিটার্ন দাখিল করে। যদিও ওই সকল প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগই বিদ্যমান আইনের অধীন প্যাকেজ ভ্যাটের আওতায় রয়েছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) অনুষ্ঠিত মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর অধীনে উৎসে মূসক কর্তন বিষয়ক সেমিনারে এই তথ্য উঠে আসে।
অতিরিক্ত কমিশনার জাকির হোসেন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হলে করদাতাদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভ্যাট প্রদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ নতুন ভ্যাট পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ বিধায় করদাতা প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দিয়ে তার রিটার্ন দাখিল করতে উৎসাহ দেখাবে।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন প্রয়োগ ছাড়া সরকারের বিকল্প নেই। তবে আইন বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া যেন ন্যূনতম ভোগান্তিমুক্ত হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, এ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীসহ সব মহলের আস্থা অর্জন করতে হবে। দেশ ও জাতির মঙ্গল, উন্নয়নের জন্য কর্মকর্তা-ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ আস্থা জরুরি। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমরা নতুন আইন প্রয়োগ করেছি। জটিলতা থাকবে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করতে হবে।
সেমিনারে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এনবিআর সদস্য (মূসকনীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন। প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে একই পণ্যের ওপর বিভিন্ন হারে কর দেওয়ার যে জটিলতা তৈরি হয়, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হলে এটা আর থাকবে না। ফলে করদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভ্যাট প্রদানে যে অনাগ্রহ রয়েছে, তা অনেকাংশে দূর হবে।
ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর আরো বলেন, নতুন ভ্যাট আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভ্যাট সংগ্রহ সহজ ও সঠিক পরিমাণ মূসক সংগ্রহ নিশ্চিত হবে। এই আইন কর ফাঁকির সুযোগ কমিয়ে সবার জন্য সমান প্রতিযোগিতার সুযোগ তৈরি করবে।
এনবিআর সদস্য আরো বলেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এনবিআরের ওয়েবসাইট আরো আধুনিক ও আপটেড থাকবে। যেখান ভ্যাটসংক্রান্ত সকল তথ্য ও সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় ভ্যাট বিষয়ক একটি কল সেন্টার সব সময় খোলা থাকবে। যেখানে আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সরাসরি যেকোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। তারপরও যদি কোনো গ্রাহক জটিল সমস্যার সম্মুখীন হন, যা কল সেন্টার সমাধান দিতে পারছে না, তাহলে ওই সেন্টারের মাধ্যমেই সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে গ্রাহক সমস্যার সমাধান নিতে পারবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন