সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র আগের চাইতে অনেক বেশি নিরাপদ : হোয়াইট হাউস

ওবামার পররাষ্ট্র নীতি পুরোপুরি ধ্বংসাত্মক আখ্যা দিয়ে ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতি ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা বাছাইয়ের দৌড়ে এগিয়ে থাকা রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পররাষ্ট্র নীতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। ওয়াশিংটনে দেয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দেশকে আবার এমন উচ্চতর স্থানে নিয়ে যাবেন যাতে সবাই যুক্তরাষ্ট্রকে সমীহ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্র নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি ওবামার পররাষ্ট্র নীতি অবিবেচক ও উদ্দেশ্যহীন হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, তার এই নীতি দেশের পুরোপুরি ও সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসাত্মক। তবে তার এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট বলেছেন, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর, যুক্তরাষ্ট্র এখন আগের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী ও নিরাপদ। বুধবারের ভাষণে ট্রাম্প আরো বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে, দেশের স্বার্থকেই সবার আগে গুরুত্ব দেবেন। এমনকি রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা নিরসন করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণায় নামার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রাসী মন্তব্য করে সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি দলের ভেতরে মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থীদের একত্রিত হয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবার ঘটনাও ঘটেছে।  এজন্য নিজের দলের ভেতরেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে, সংবাদ সংস্থা বিবিসি বলছে, আন্তর্জাতিক নীতি সম্পর্কে নিজের প্রথম এই বক্তৃতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগের চেয়ে কৌশলী ও সংযত মনে হয়েছে। গত বুধবার তিনি তৈরি করা স্ক্রিপ্টের বাইরে কোন কথা বলেননি। ওয়াশিংটনে দেয়া ওই ভাষণে ধনকুবের ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে, দেশকে আবার এমন জায়গায় নিয়ে যাবেন যাতে সবাই তাদের আবার সমীহ করে। তার ভাষায়, আমাদের দেশকে আবার ধনবান এবং মহান একটি রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। আর তা করতে পারলেই এই শতাব্দী আবারো শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে নতুন করে সমীহ আদায় করার সময় এসে গেছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ওই ভাষণে তিনি মিত্র রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষার খরচ যুক্তরাষ্ট্র আর পরিশোধ করবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবারও আশ্বাস দিয়েছেন রিপাবলিকান দলের এই প্রার্থী। রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন