রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

হিন্দুস্তান এরোনটিকসের বকেয়া ১০ হাজার কোটি রুপি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৮, ৮:৪৩ পিএম

বাজেট বরাদ্দ থেকে তহবিল ছাড়ে বিলম্ব হওয়ায় এবং নতুন অর্ডার না থাকার কারণে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা হিন্দুস্তান এরোনটিকস লিমিটেডের (এইচএএল) কাছে অর্থের পরিমাণ কমে মাত্র এক হাজার কোটি রুপিতে নেমে এসেছে। সশস্ত্র বাহিনীর কাছে কোম্পানিটির যে বিশাল অঙ্কের পাওনা রয়েছে, কোন ঋণ না করে সেই পাওনা অর্থ দিয়ে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আশায় রয়েছে।
এইচএএল কোম্পানিটি তাদের ব্যবসার জন্য মূলত সশস্ত্র বাহিনীর উপর নির্ভরশীল। দেশের বাইরে ইসরো’র সাথে তাদের সামান্য যে ব্যবসা রয়েছে, সেটি বিবেচনার মতো নয়।
সূত্র মতে, এইচএএলের ক্রেতাদের কাছ থেকে কোম্পানিটির পাওনা ৩০ সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুযায়ী কমপক্ষে ১০,০০০ কোটি রুপি। ২০১৮ সালের ৩১ মার্চের প্রকাশিত এইচএএলের রিপোর্ট অনুসারে সশস্ত্র বাহিনীর কাছে তাদের পাওনা ৭,৯০০ কোটি রুপি। ৩০ জুনে যে মেয়াদ শেষ হয়েছে, তখনও এই পাওনার অঙ্ক একটুও কমেনি। ৩০ সেপ্টেম্বর যে কোয়ার্টার শেষ হলো, সে সময় এই পাওনার পরিমাণ ১০,০০০ কোটি রুপিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই সূত্র আরও জানায় যে, সবশেষ গত মঙ্গলবারের হিসেবে এই অঙ্ক আরও বেড়েছে।
এইচএএলের বর্তমানে যে অর্থ রয়েছে, তা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ২৯,০৩৫ জন জনবলের তিন মাসের বেতন দেয়াও সম্ভব নয়। প্রতি মাসে তাদের বেতন দিতে হয় ৩৫৮ কোটি রুপি। পাওনাদারদের কাছ থেকে এই সময়ের মধ্যে অর্থ না পেলে এইচএএলকে বাইরে থেকে ঋণ নিতে হবে।
এইচএএল আশা করছে যে, সরকার ২০১৮-১৯ সালের বাজেট বরাদ্দ থেকে অর্থ ছাড় দেবে অথবা সশস্ত্র বাহিনীর কাছে যে পাওনা রয়েছে, সেটা শোধ করা হবে। এ পর্যন্ত বরাদ্দের মাত্র ৪০% পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, “আমাদের বোর্ড প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিষয়টি নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি”। সূত্র আরও জানায় যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তার মন্ত্রীত্বের সময়কালে একবারের জন্যও এইচএএল সফর করেননি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানতে চেয়েছিল কেন এএইচএএলের কাছে সশস্ত্র বাহিনীর দেনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
আরেকটি সূত্র বলেছে, প্রতিষ্ঠানটির উপর এর বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে, কারণ শিগগিরই অর্থ না পেলে প্রতিষ্ঠানটিকে এমনকি বেতন দেয়ার জন্যও অর্থ ঋণ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন