বিহারে ১৭৫ জন পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি গেল। এঁদের অধিকাংশই মহিলা। এই পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসা ও ভাঙচুরের ঘটনার উস্কানির অভিযোগ আনা হয়েছে। গত শুক্রবার এক মহিলা সহকর্মীর মৃত্যুর পর তাঁরা এ ঘটনা ঘটান বলে পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। পাটনা বিভাগের আইজিপি নাইয়ার হাসনান খান রবিবার জানিয়েছেন, যাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ১৬৭ জন শিক্ষানবিশ রয়েছেন। হাসনান খানের উপরেই এ ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্বও তাঁর উপরেই। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘শিক্ষানবিশ যে সব কনস্টেবলদের ডিসমিস করা হয়েছে তাঁদের অর্ধেকেরও বেশি মহিলা। ট্রেনি কনস্টেবলদের দায়িত্ব বিতরণের ভার যাঁদের উপর ছিল সেরকম এক হেড কনস্টেবল ও আরও দুজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ গত শুক্রবার সকালে এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় পুলিশকর্মী সবিতা পাঠকের। তার একদিন আগে পেটের যন্ত্রণার কারণে তাঁকে ডিউটি থেকে সরিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শরীর খারাপ হওয়া সত্তে¡ও সবিতা পাঠককে ডিউটি দেওয়ার অভিযোগ তুলে ট্রেনি কনস্টেবলরা ভাঙচুর শুরু করেন, পুরো পুলিশ লাইন তছনছ করা হয়, পুলিশ অফিসারদের গাড়ি রাস্তার ওপর উল্টে দেওয়া হয়। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রক পরিস্থিতি বলবৎ করিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লাগে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের। পুলিশ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ডেঙ্গুর কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরে জানিয়েছে, যে রোগীর ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়নি, তবে একাধিক ভাইরাল সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি। আইজি খান বলেছেন, ‘‘তদন্তের সময়ে আমরা জেনেছি যে সবিতা পাঠক সত্যিই অসুস্থ ছিলেন এবং অক্টোবর মাসে তিনি তিনদিনের মেডিক্যাল লিভও নিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে কাজে যোগ দিতে বলা উচিত হয়নি।’’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন