শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মেরামত হচ্ছে পৃথিবীর প্রতিরক্ষা স্তর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:০২ পিএম

১৯৮০ সালে প্রথম দেখা যায় যে ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পৃথিবীর এই প্রতিরক্ষা স্তর আমাদেরকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে এখন দেখা যাচ্ছে যে এটি সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। উত্তর গোলার্ধের অংশটি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হবে ২০৩০ সাল নাগাদ আর এন্টার্কটিকা অংশে সময় লেগে যাবে ২০৬০ পর্যন্ত।
জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এটি আসলে সেই উদাহরণ যা থেকে প্রমাণ করা যায় যে বিশ্বব্যাপী এই সংক্রান্ত চুক্তিগুলো কী অর্জন করতে পেরেছে। ওজোন স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত মানুষ সৃষ্টি রাসায়নিক ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন-এর কারণে, যার সংক্ষিপ্ত নাম সিএফসি।
পৃথিবীর মাটি থেকে ছয় মাইল ঊর্ধ্বে এই ওজোন স্তরের অবস্থান। অক্সিজেন অণুর এক বিশেষ রঙ হীন রূপ এই ওজোন। মূলত এটি পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। এই অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হতে পারে ত্বকের ক্যান্সার, চোখের সমস্যা বা ফসলের ক্ষতি।
ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এন্টার্কটিকার বরফ গলতে শুরু করে। ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন গ্যাস বা সিএফসি যেন অনেকটা ওজোন স্তরকে খেয়ে ফেলতে থাকে। এই সিএফসি থাকে বিভিন্ন ধরনের স্প্রে ক্যানে, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারে। ফলস্বরূপ, ১৯৮৫ সালে দেখা গেল যে দক্ষিণ গোলার্ধের ওজোন স্তরে বড়সড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের শেষ দিকে এটি ছিল সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। উপরের ওজোন স্তরের অনন্ত ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। তবে, জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ২০০০ সাল থেকে প্রতি দশকে ৩% হারে এটি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা ‘মন্ট্রিল প্রোটোকল’ নামে পরিচিত তা এই সিএফসি সমৃদ্ধ জিনিসের ব্যবসার প্রতিস্থাপনে সহায়তা করে। ১৮০টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলি সিএফসি-র মতো রাসায়নিক উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়।
তবে ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর বায়ার্ন টুন বলেছেন, এখনো পুরোপুরি সাফল্য আসেনি। তার মতে, “আমরা নির্দিষ্ট কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছি যেখানে এই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে শুরু হয়েছে।” তিনি দেখান যে, এখনো কিছু অংশ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেনি। কিছু ক্লোরিন-যুক্ত রাসায়নিকের নির্গমন বৃদ্ধি এই ওজোন স্তরের নিরাময়কে হ্রাস করতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
এরপরও ওজোন স্তরের পুনরুদ্ধারের বিষয়টিকে বড় ব্যাপার বলে মনে করছে অনেক বিশেষজ্ঞ। নাসা’র গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের প্রধান ধরিত্রী বিজ্ঞানী এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টটির সহ-সভাপতি পল নিউ-ম্যান বলেন যে, এটি আসলেই ভালো খবর। তার ভাষ্য, যদি ওজোন হ্রাস-কারী পদার্থগুলির উৎপাদন অব্যাহত থাকতো, তবে তার বিপুল প্রভাব দেখা যেত প্রকৃতিতে। তাই সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সূত্র: ডয়েশ্চ ভ্যালে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন