শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইউরোপে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন তুরস্কের নাগরিকরা

ইইউ’র সাথে অভিবাসন চুক্তি স্বাক্ষরের সুফল

প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপের দেশগুলোতে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন তুরস্কের নাগরিকরা। আজ বুধবার ইউরোপীয় কমিশন এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে বলে খবরে বলা হয়েছে। এজিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসমুখী অভিবাসীদের তুরস্কে ফেরত নেয়ার বিনিময়ে প্রায় সাড়ে সাত কোটি তুর্কি নাগরিক শর্তসাপেক্ষে এই সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তুরস্কের নাগরিকদের ইউরোপ ভ্রমণে সুযোগ সৃষ্টি হলো। ইইউ আশঙ্কা করছে, তুর্কি নাগরিকদের ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ না দিলে অভিবাসীদের ঠেকানোর উদ্যোগ বন্ধ করে দিতে পারে আঙ্কারা। তুরস্ক হয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিপুলসংখ্যক নাগরিকের শরণার্থী হিসেবে আগমন ইউরোপের দেশগুলোর জন্য রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি করেছে। তুরস্কের সাথে সম্প্রতি ইইউর যে চুক্তি হয়েছে তাতে কোনো শরণার্থীর আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন খারিজ হলে তাকে ফেরত নেবে তুরস্ক। তবে তুরস্কে যত সিরীয় অভিবাসীকে আশ্রয় দেবে তাদের মধ্যে প্রতি দু’জন থেকে একজনকে নেবে ইউরোপ। সম্প্রতি তুরস্ক সফরকালে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, শরণার্থীদের সাথে কেমন আচরণ করতে হয় সেক্ষেত্রে তুরস্ক বিশ্বের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত। তুরস্ক প্রায় ৩০ লাখ সিরীয় অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। চুক্তি অনুসারে জুনের শেষ নাগাদ থেকে ইউরোপে ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পাবেন তুর্কি নাগরিকরা। এজন্য ৪ মে’র মধ্যে তাদের ৭২টি শর্ত পূরণ করতে হবে। তুর্কি সরকার বলছে, তারা ইইউ’র সাথে চুক্তি মোতাবেক সব শর্ত পূরণ করেছে। অপরদিকে, ইউরোপের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ইউরোপগামী শরণার্থীদের ঠেকাতে তুরস্কের সাথে যে চুক্তি হয়েছে তা কাজ করতে শুরু করেছে। ওই চুক্তিটিকে এগিয়ে নিতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় একটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে অ্যাঙ্গেলা মারকেল তুরস্কের গাজিয়ানটেপ ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্যে বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা নয়, বরং শরণার্থীদের পাশেই যেন পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকে তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। তিনি বলেন, প্রতিটি শরণার্থী শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। শরণার্থী শিবিরে তুরস্কের প্রচেষ্টা দেখে তিনি অত্যন্ত অভিভূত হয়েছেন। এ সময় মারকেলের সাথে ছিলেন ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্স টিম্যারম্যান্স। টাস্ক জানান, চলতি গ্রীষ্মে ইইউ সিরীয় শরণার্থীদের জন্য ১১০ কোটি ডলার ব্যয় করবে। সিরীয় শরণার্থীদের ঠেকাতে গত মাসে তুরস্কের সাথে একটি চুক্তি করে ২৮ সদস্যবিশিষ্ট ইইউ। এতে সিরীয় শরণার্থীদের জন্য তুরস্ককে কোটি কোটি ডলার সহায়তা এবং তুর্কি নাগরিকদের ইউরোপে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বিবিসি, এএফপি, আল-জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন