শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দেওবন্দকে ‘সন্ত্রাসের পীঠস্থান’ বলে তীব্র সমালোচনার মুখে মন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ভারতের উত্তর প্রদেশের ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দকে সন্ত্রাসের পীঠস্থান বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং। গত বুধবার তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘জানি না দেওবন্দ শিক্ষার মন্দির না সন্ত্রাসের মন্দির। হাফিজ সাঈদ ও বাগদাদি এখানকারই। এখানে মানবকল্যাণের পাঠ দেয়া হয়, নাকি মানব নিধনের শিক্ষা দেয়া হয়? কারণ বাগদাদি মানুষ নিধন করছে। হাফিজ সাঈদ ২৬/১১তে ভারতে সেটাই করেছে। এরা দুজনই দেওবন্দের শিক্ষার্থী ছিলেন এমনটাই লোকে আমাকে জানিয়েছে। আমি এজন্য মনে করি এটা শিক্ষার মন্দির নয়, সন্ত্রাসের মন্দির।’
বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম বলেন, ‘মন্ত্রী যে কথা বলেছেন, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। দারুল উলুম দেওবন্দ স্বাধীনতা সংগ্রামী তৈরি করার প্রতিষ্ঠান। মূলত সমস্যা হয়েছে বর্তমানে যারা বিজেপি-আরএসএসের কর্মকর্তা; তাদের ইতিহাস সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের কোনো অবদান নেই।’
তিনি বলেন, যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা সংগ্রামে বিরাট বড় ভূমিকা পালন করেছে তাদের চরিত্র হনন করে এরা নিজেদের জীবিকা ও নিজেদের রাজনীতি করতে চায়। মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে যদি কোনো তথ্য থাকে তাহলে তার উচিত এ নিয়ে পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখা। তিনি পার্লামেন্টে বিষয়টা তুলতে পারেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রয়োজন কী আছে?
মুফতি সালাম বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দারুল উলুম দেওবন্দের লড়াই বিশ্বখ্যাত। সারা পৃথিবীতে দারুল উলুম দেওবন্দ এ ব্যাপারে সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ফতোয়া দারুল উলুম দেওবন্দ দিয়েছে। এসব তো খুব সা¤প্রতিক ঘটনা। সেগুলোকে বিকৃত করে মন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন ভারতের আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবদের চরিত্র হনন করার উদ্দেশ্যে। মানুষ দারুল উলুম দেওবন্দকে জানে, তার কর্মকাÐকে জানে। দারুল উলুম দেওবন্দের দরজা, তার সদর গেট সবসময় খোলা থাকে সেখানে গোপনীয়তার কোনো জায়গা নেই। সেখানে সব ধর্মের মানুষদের যাতায়াতের উদার আহŸান আছে।’ মজলিসে ইত্তেহাদ-এ-মিল্লাতের জেলা সভাপতি মুফতি আহমদ গৌড় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটা একথারই প্রমাণ যে, দেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এসব লোকদের নিয়ত স্পষ্ট নয়। এরা দেশের মধ্যে আজও ব্রিটিশদের মতো বিভক্ত করে শাসন করো নীতি গ্রহণ করে রাজত্ব করছে।’
অল ইন্ডিয়া জমিয়ত রাজপুতের সভাপতি মাওলানা মুস্তাফা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই এজন্য তাকে ভালো চিকিৎসকের কাছে নিজের চিকিৎসা করানো উচিত। বিজেপি এসব লোককে উৎসাহ দিয়ে দেশকে বিভক্ত করে ধ্বংস ও বরবাদ করতে চাচ্ছে।’ সূত্র : পার্স টুডে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
M Bhuiyn ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৫৭ এএম says : 0
ভারতের উগ্র হিন্দুত্যবাদরা তো এখন পশু পাখির ও জাতপাত নির্দারন করছে,কোন পশু ব্রাক্ষন কোন পশু নমঃসুদ্র ! তাই এরা অচিরেই ধ্বংস্ব হবে।
Total Reply(0)
মনজুর এলাহী শওকত ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৫৭ এএম says : 0
এর বিরুদ্ধে এশিয়া মহাদেশের সকল রাষ্ট্রে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
Total Reply(0)
এজহার মিয়া ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৫৮ এএম says : 0
এই রকম ভাষা নাসতিকের
Total Reply(0)
জুয়েল মিয়া ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৫৯ এএম says : 0
মন্ত্রীর মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই এজন্য তাকে ভালো চিকিৎসকের কাছে নিজের চিকিৎসা করানো উচিত,
Total Reply(0)
Alam Hossain ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১:৫৯ এএম says : 0
ভারত ভাঙ্গার সময় আর বেশি দেরি নাই।
Total Reply(0)
Abu Muhammad ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ২:০০ এএম says : 0
মদের মাত্রা বেশি ছিল
Total Reply(0)
Anik ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:৪০ পিএম says : 0
জানোয়ার গিরিজের
Total Reply(0)
sujon mahmud ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৬ পিএম says : 0
কুৱআনেৱ শিক্ষা না পেয়ে এৱা ............ পৱিনতা হয়েছে ৷
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন