ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদেরকে প্রশিক্ষণের জন্য জর্দানে সেনা পাঠানোর বিষয়ে নরওয়ে সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে তার কঠোর নিন্দা করেছে দামেস্ক। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নরওয়ে সরকারের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে সিরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘন হবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহী প্রশিক্ষণের জন্য জর্দানে অন্তত ৬০ জন সেনা পাঠাবে নরওয়ে। তবে সিরিয়ার কোন গোষ্ঠীকে এসব সেনা প্রশিক্ষণ দেবে তা স্পষ্ট নয়। নরওয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দামেস্ক মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশটির এ পদক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। দামেস্ক সরকারের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী। সিরিয়া ইস্যুতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের অনুসৃত নীতিরও সমালোচনা করেছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সিরিয়ার ভেতরে জিহাদি আইসেরে বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম করে আমেরিকা নতুন করে ২৫০ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেয়ার পর নওরয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে, সিরিয়ায় একটি হাসপাতালের ওপর বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত হবার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ একটি প্রস্তাব পাশ করেছে যেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কর্মী ও রোগীদের নিরাপত্তা দাবি করা হয়েছে। গত বুধবার আলেপ্পোতে আল কুদস নামে এই হাসপাতালটির ওপর হামলা চালানো হয়। এটি ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থা মেডিসে স ফ্রঁতিয়ে বা এমএসএফ এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের সমর্থনে পরিচালিত। বিমান হামলা চালিয়ে হাসপাতালটি একেবারে গুড়িয়ে দেয়া হয়, নিহত হয় রোগী এবং চিকিৎসকেরাও। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের বক্তব্য, হাসপাতালের উর সরাসরি এবং আন্তর্জাতিক হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল। গত বছরও আফগানিস্তানে একটি হাসপাতালে মার্কিন বিমান হামলায় ৪২ জন মারা যায়। পরে মার্কিন বাহিনী এ হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ না আনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল এমএসএফ। বিবিসি, আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন