বসনিয়ায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রাগান লুকাসের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভরতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গত রোববার বানজা লুকা শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে তারা। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের বাধার মুখে একটি কনসার্ট বাতিল হয়ে গেছে। বর্ষ বরণ উপলক্ষে গতকাল সোমবার আয়োজিত আরও একটি কনসার্ট ভণ্ডুল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।
এ বছরের মার্চে ছয় দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর বানজা লুকা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় শিক্ষার্থী দাবিদ দ্রাজিসিভিসের লাশ। এরপর থেকে ঘটনার সত্যতা জানতে ও ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিদিনই টাউন স্কয়ারে বিক্ষোভের আয়োজন করে আসছেন তার বাবা দাবোর দ্রাজিসিভিস। তার এ প্রচেষ্টা ধীরে ধীরে বড় নাগরিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দেশে দুর্নীতি নিয়ে হতাশায় থাকা নাগরিকরা এ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। তারা মনে করে বসনিয়ায় আইনের শাসনের অবস্থা খুবই দুর্বল। গত সপ্তাহে সংহতি জানিয়ে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ায়ও ছোট মাত্রার বিক্ষোভ হয়েছে।
শুরুতে পুলিশ দাবি করেছিল, দাবিদ দ্রাজিসিভিস আত্মহত্যা করেছে। পরে তারা বলেছে, দাবিদ হত্যার শিকার হয়ে থাকতে পারে। তবে এ মামলায় সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন দল হত্যার কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুকাস ও পুলিশ কর্মকর্তারা ২১ বছর বসী দাবিদ দ্রাজিসিভিসের মৃত্যুর নেপথ্যের কারণ ধামাচাপা দিচ্ছে। গত রোববার টাউন স্কয়ার এলাকায় কয়েক ঘণ্টা সমাবেশ করেছে বিক্ষোভকারী। আঞ্চলিক এক ফোক তারকার কনসার্টেও বাধা দিয়েছে তারা। পরে ওই কনসার্ট বাতিল করা হয়। দাবিদ দ্রাজিসিভিসের মা সুজানা রাদানোভিস বলেন, ‘কোনও সাধারণ মানুষ আমার ছেলের হত্যাকারী হলে তাকে অনেক আগেই গ্রেফতার করা হতো। এ হত্যাকারী ক্ষমতাশীল কেউ।’
দাবিদ হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা কেন পুলিশকে সন্দেহ করছে সে ব্যাপারে স্পষ্টভাবে জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশ আগে থেকে চিনতো কিনা তাও জানা যায়নি। তবে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, তদন্তের দীর্ঘ মেয়াদ এবং এখন পর্যন্ত এর ফল না পাওয়ায় সংশয় তৈরি হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন