২০১৬-১৭ অর্থ বর্ষে ভারতে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। একলাফে ৭২ শতাংশ বেড়ে ২০১৭-১৮তে জালিয়াতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ ১৬৭.৭ কোটি টাকা। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সা¤প্রতিক হিসেব বলছে সেরকমটাই।
শুক্রবার প্রকাশিত আরবিআই-এর হিসেব বলছে, ২০১৭-১৮ এই আর্থিক বছরে সারা দেশ জুড়ে মোট ৫০৭৬টি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। টানা ৪ বছর ধরে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ২০১৩-১৪ অর্থ বর্ষে ১০১৭০ কোটি টাকার জালিয়াতির ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। গত আর্থিক বছরে যেসমস্ত ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হয়েছে, অধিকাংশই অফ ব্যালেন্স শিট, ফরেন এক্সচেঞ্জ লেনদেন, ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট এবং সাইবার কার্যকলাপ সংক্রান্ত। ২০১৭-১৮ সালে ২০৫৯টি সাইবার জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাঙ্ক ১০৯.৬ কোটি টাকা খুইয়েছে। তার আগের বছর অঙ্কটা ছিল ৪২.৩ কোটির।
সাধারণত ৫০ কোটির ওপর জালিয়াতি হলে সেগুলিকে বড় অঙ্কের জালিয়াতি হিসেবে ধরা হয়। গত আর্থিক বছরে সেই হিসেবে আশি শতাংশই বড় অংকের জালিয়াতি ঘটেছে। লক্ষণীয়, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ৯৩ শতাংশই হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। বেসরকারি ব্যাঙ্কে জালিয়াতির পরিমাণ মাত্র ৬ শতাংশ।
২০১৭-১৮ তে জালিয়াতির পরিমাণ এক লাফে ৭২ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার পেছনে একটা বড় কারণ অবশ্যই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি, সে কথা জানানো হয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফেও।
বড় অঙ্কের জালিয়াতি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আরবিআই কয়েকটি সম্ভাব্য ঘটনাকে চিহ্নিত করেছে। অনাপত্তি পত্র ছাড়াই যাকে তাকে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া, ঘাটতি এবং জালিয়াতির সম্ভাবনাযুক্ত পরিষেবা প্রদান, থার্ড পার্টি এন্টিটির সংশাপত্র পাওয়া এর মধ্যে অন্যতম কারণ।
২০১৮-এর ফেব্রুয়ারি মাসেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইবিএ (ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশান)-কে পরামর্শ দিয়েছিল যথাযথ তথ্য সুরক্ষাসম্পন্ন ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামো চালু করার জন্য। ব্যাঙ্কগুলোর মোট সম্পদ, জালিয়াতি ইত্যাদি বিষয় খুঁটিয়ে দেখার জন্য ওয়াইএইচ মালেগমের নেতৃত্বে একটি এক্সপার্ট কিমিটিও গঠন করা হয়েছিল। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন