শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চাপ অব্যাহত থাকলে বিকল্প নেবেন কিম

বর্ষবরণের ভাষণে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ভিন্ন সুর

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখে তাহলে ওই প্রতিশ্রুতির দিক পাল্টে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন। খ্রিস্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে কিম এ সতর্ক বার্তা দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। “সমগ্র বিশ্বের সামনে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা যদি তারা রক্ষা না করে, আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও চাপ অব্যাহত রাখে, তাহলে জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় নতুন পথের কথা বিবেচনা করে সেখান (চুক্তি) থেকে সরে আসা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প থাকবে না,” ভাষণে বলেছেন কিম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তিনি বলেন, তবে তার দেশকে কড়া চাপে রাখার চেষ্টা করা হলে ভিন্ন পথও খোলা আছে। কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার আভাস দিয়ে মঙ্গলবার তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও চাপ অব্যাহত রাখে তবে বিকল্প উপায়ও বেছে নিতে পারেন তিনি। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া ভাষণে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতি নিজের জোরালো ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন। প্রথমবারের মতো তিনি ইঙ্গিত দেন, উত্তর কোরিয়া আর পরমাণু অস্ত্র বানাবে না। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে স্থগিত কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে অনির্দিষ্টকালীন ধারাবাহিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান কিম। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি একতরফাভাবে আমাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চায়, তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় উত্তর কোরিয়া নতুন পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পারমাণবিক কর্মসূচি অপরিহার্য বিবেচনা করে আসছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু দেশটির নেতার নতুন এ মন্তব্যের পর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে তারা সম্মত কিনা- তা নিয়ে সন্দেহ জাগছে। তার এ মন্তব্যকে ঘিরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে কিমের এ মন্তব্যকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তারা বলছে, এতে সিউল ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কিমে দৃঢ় ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। বিবিসি, রয়টার্স

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন