বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যা বলার অনুমতি রয়েছে?

ইসমাইল হোসেন
ইমেইল থেকে।

প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:৫৮ পিএম

উত্তর : মিথ্যা বলা কোনো ক্ষেত্রেই অনুমোদিত নয়। শরিয়তে সত্যকে সর্বত্রই উৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস আনে। সামাজিক আচরণবিধি সম্পর্কিত মাসয়ালা পাওয়া যায় যে, বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং নির্দোষ ব্যক্তির প্রাণ রক্ষার লক্ষ্যে কখনো অপ্রিয় সত্যটি গোপন করা বা অসত্যকে তুলে ধরার অনুমতি রয়েছে। কোনো বৈধ বিষয়কে প্রতিষ্ঠিত করতে বা অধিকার সুরক্ষার জন্য দ্ব্যর্থবোধক বা অস্পষ্ট কথা বলার অনুমতি শরিয়তে রয়েছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতিতে সত্য বলাই শরিয়তের মৌল দর্শনের দাবি।

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
সাইকুল ইসলাম ৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:১২ পিএম says : 2
আমি নিজের কানে শুনেছি নিজের ওয়াইফের সাথে মিথ্যা কথা বলা জায়েজ আছে।মৌলানা ড:নজরুল ইসলাম বাইশ হাজারী এক মাহফিলে বলেছেন নিজের স্ত্রীর সাথে যতখুশি মিথ্যা বলা যায়।দাদার সাথে মিথ্যা বলা যায়।যুদ্ধ ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা যায়।
Total Reply(1)
Abul Kashem ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:৪৬ এএম says : 4
What about Hasina Gong? Hasina always lies, Is that Jaez? I think it is Jaez for HIM(!) What is your opinion.
nayem ahmed ২৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:৪২ এএম says : 0
আমার gf কে ওর মা জুর করে ওর মৃত বাবার কসম দিয়েছে একন এই কসম ভাঙলে কি করতে হবে? বা এই কেত রে মিথ্যা বলা জায়েজ আছে কিনা?
Total Reply(0)
Jannatul Ferdaus ১২ জুলাই, ২০২১, ৬:১৯ পিএম says : 0
যদি আমি কাউকে মজা করে বলি যে,বিয়ে করবা নাকি আমাকে।।।তাহলে কি পাপ হবে???
Total Reply(0)
ফারুকী ৬ এপ্রিল, ২০২২, ২:৫৯ পিএম says : 0
মিথ্যা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ এবং ইসলাম একে হারাম ও কবিরা গুনাহ ঘোষণা করেছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা মিথ্যাচার বর্জন করো। কেননা মিথ্যা পাপাচারের দিকে ধাবিত করে এবং পাপাচার জাহান্নামে নিয়ে যায়। কোনো ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা বলতে থাকলে এবং মিথ্যাচারকে স্বভাবে পরিণত করলে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে তার নাম মিথ্যুক হিসেবেই লেখা হয়।’ (আবু দাউদ : ৪৯৮৯)। তবে শর্তসাপেক্ষে তিন ক্ষেত্রে সত্যের বিপরীত কথা বলার অবকাশ আছে। তা হলো, মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা, বৃহত্তর অকল্যাণ থেকে রক্ষা করা এবং স্ত্রীকে খুশি ও মনোরঞ্জন করা। হজরত আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ক্ষেত্র ছাড়া মিথ্যা বলা বৈধ নয়- ১. মানুষের মধ্যে আপস-মীমাংসার জন্য মিথ্যা বলা। ২. যুদ্ধক্ষেত্রে মিথ্যা বলা এবং ৩. স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য মিথ্যা বলা।’ (আবু দাউদ : ৪৯২১)। হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসরা বলেছেন, ‘(হাদিসে উল্লিখিত তিনটি ক্ষেত্রে) শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও ক্ষতি থেকে বাঁচতে মানুষ কখনও কখনও বাড়িয়ে বলতে এবং সত্য অতিক্রম করতে বাধ্য হয়। তাই যেখানে মীমাংসার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কখনও কখনও অসত্য বলার অবকাশ রয়েছে। যেমন দুই ব্যক্তির মধ্যে মীমাংসার জন্য একপক্ষের ভালো দিকগুলো অন্যপক্ষের কাছে বাড়িয়ে বলা এবং তার সুন্দর দিকগুলো তুলে ধরা। যদিও সে বিবদমান পক্ষ থেকে কথাগুলো শোনেনি। আবার যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে প্রচার করা, এমন কথা বলা যাতে সঙ্গীরা সাহস পায় এবং শত্রুরা ধোঁকায় পড়ে যায়। অনুরূপভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিথ্যা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ভালোবাসা ও আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশে মিথ্যা বা বাড়িয়ে বলা। যাতে পারস্পরিক ভালোবাসা স্থায়ী হয় এবং পারিবার দীর্ঘস্থায়ী হয়। যেমন- এমন কথা বলা যে, তুমি অমূল্য, তুমিই আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়, আমার চোখে তুমিই সবচেয়ে সুন্দরী ইত্যাদি। অধিকার হরণ বা দায়িত্ব থেকে পলায়নের জন্য মিথ্যা বলা বৈধ নয়। (শরহুস সুন্নাহ : ১৩/১১৯; তুহফাতুল আহওয়াজি :৬/৬৯)
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন