ইনকিলাব ডেস্ক
রমজান মাসে ইসলামিক স্টেট-এর বাংলাদেশী নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। যুদ্ধবিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টাডি অফ ওয়ারের প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়। এর আগে আবু ইব্রাহিম নামের একজনকে বাংলাদেশি ফ্রন্টের নেতা বলে জানানো হয়েছিল।
স্টাডি অব ওয়ার বা আইএসডাব্লিউ’র ঐ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আগামী রমজান মাস, অর্থাৎ ৬ জুন থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে ইসলামিক স্টেট অব বাংলাদেশ বা আইএসবি প্রধানের নাম। রমজান মাসকে সামনে রেখেই তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস তাদের নতুন প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে। এই প্রচারণায় ঐতিহাসিকভাবে মুসলিম ভূখ- উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ছাড়াও বাংলাদেশকে ‘টার্গেট’ করা হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে ইসলামিক স্টেট-এর মুখপত্র বলে পরিচিত ‘দাবিক’ ম্যাগাজিনের সর্বশেষ সংখ্যায় বাংলাদেশে আইএস-এর নতুন ‘ফ্রন্ট’ খোলার কথা বলা হয়। জানানো হয়, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে আইএস পরিচালনার দায়িত্বে আছেন আবু ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তি। তবে আগামী রমজানে আইএসবি’র নতুন নেতা হিসেবে তাঁর নামই ঘোষিত হবে কিনা, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি আইএসডাব্লিউ। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ লেখক, প্রকাশক ও ব্লগার হত্যাকা-ের ঘটনায় আইএস-এর দায় স্বীকারের খবর শোনা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকার দেশে আইএস-এক থাকা বা ইসলামিক স্টেটের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ (অব.) বলেন, ‘দু’টি দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশে আইএস-এর উপিস্থিতির প্রমাণ মেলে না। প্রথমত, এখানে জঙ্গি আক্রমণের যে ধরন, তাতে গ্লোবাল জিহাদের উদ্দেশ্য প্রসারিত হয় না। দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিক উপস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, যারা ধরা পড়ে তাদের মধ্যে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের সদস্য আছে। এর সঙ্গে আছে নতুন যুক্ত হওয়া জঙ্গিও। এর মানে হলো এই জঙ্গিরা দেশজ।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।’
তবে জেনারেল রশীদের কথায়, ‘আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ জঙ্গিরা তাদের অবস্থান এবং কৌশল বদল করে। বাংলাদেশে আইএস আদর্শের অনুসারী থাকতে পারে। তবে তা দিয়ে তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করা যায় না।’ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন