রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ধর্মীয় নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় করাচিতে সঙ্গীসহ ব্লগার খুন

প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানে খুন হয়েছেন খুররম জাকি নামের একজন ব্লগার। পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী ও প্রাক্তন সাংবাদিক জাকি দেশটিতে পরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ। কট্টর ধর্মীয় নীতির বিরুদ্ধে বরাবর মুখ খুলেছেন, ব্লগেও লিখতেন তিনি। ফেসবুকে লেট আস বিল্ড পাকিস্তান (এলইউবিপি) নামে একটি পেজও খুলেছিলেন খুররম। গত রোববার রাতে উত্তর করাচির সেক্টর ১১-জি’র একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন বছর চল্লিশের খুররম। তার সঙ্গে ছিলেন রাও খালিদ নামে এক সাংবাদিক। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মারা গিয়েছেন তিনিও। রেস্তোরাঁটির চারপাশ খোলা। সেখানেই দুটি মোটরবাইকে চড়ে জনা চারেক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী আসে। খুররমকে নিশানা করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা। গুলিবৃষ্টির মধ্যে পড়ে মারাত্মক জখম হন খুররমের সঙ্গী রাও খালিদ। আহত হয়েছেন আসলাম নামে আরও এক জন। ঘটনার সময় ওই রেস্তোরাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর পরই খুররমদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতের দিকে খুররমকে অন্য হাসপাতালে সরানো হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। বাঁচানো যায়নি খালিদকেও।
পাক সংবাদমাধ্যমের একটি সূত্রের দাবি, তালিবানের হাকিমুল্লাহ মেহসুদের শাখা সংগঠন এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। লাল মসজিদের মৌলবি মৌলনা আবদুল আজিজের সমালোচনা করাতেই খুররমকে সরতে হল বলে দাবি করেছে তারা। যেখানে কাল খুররমদের উপর আক্রমণ হয়, সেখানে ফরেন্সিক দল গিয়ে তদন্ত সেরেছে। নাইন এমএম বোর পিস্তল থেকেই গুলি চলেছিল সে বিষয়েও একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ। এসএসপি আরিব মেহর জানাচ্ছেন, এই ধরনের অস্ত্র দিয়ে আগের হামলাগুলো হয়নি। এর আগেও কট্টর মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার দায়ে খুন হতে হয়েছে কয়েক জন পাকিস্তানি মুক্তমনাকে। কিন্তু পুলিশের বক্তব্য, খুররমকে খুনের ক্ষেত্রে যে অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, তা নতুন ধরনের। খুররমের মৃত্যুর পরে অবশ্য বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে করাচি। গতকাল সোমবার খুররমের যানাজায় সামিল হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। করাচির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনেও তারা বিক্ষোভ দেখান। টুইটারে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে জাস্টিস ফর পিস অ্যাক্টিভিস্ট টু কনডেম দ্য কিলিং নামে প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। খুররমের স্ত্রী বলেছেন, আমার গোটা পরিবার খুনের হুমকি পেত। আমার স্বামীকে এ ভাবে ছিনিয়ে নেয়া হল। তার স্বামীর খুনিরা যাতে শাস্তি পায় তা জানিয়েছেন তিনি। তবে খুররমকে খুন করে তার পরিবারকে যে দমিয়ে রাখা যাবে না, সেই বার্তা দিয়েছেন খোদ খুররম কন্যা। খুনিদের উদ্দেশে সেই কিশোরী বলেছেন, আমার বাবাকে এভাবে খুন করে শহিদের মর্যাদা দিয়েছে ওরা। এই রকম এক জন শহীদের মেয়ে হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন