ইনকিলাব ডেস্ক : বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট পদে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনো টানা ছয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এবার আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। দাভাও শহরের মেয়র রডরিগো দুদার্তে নির্বাচনে জনপ্রিয়তার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হটিয়ে তিনিই হয়তো হতে যাচ্ছেন ফিলিপাইনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এই নির্বাচনের মাধ্যমে একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্থানীয় কর্মকর্তাও বেছে নিচ্ছেন ফিলিপিনোরা।
এদিকে, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলাকালে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এমনকি গত শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলে একজন মেয়র পদপ্রার্থীও নিহত হয়েছেন। ফলে নির্বাচন উপলক্ষে দেশজুড়ে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এক লাখের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনের বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, নির্বাচনের সময় সাধারণ মানুষ বেশ উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়েই ভোট দিয়েছে বলে জানা গেছে। ভোটারদের সব ধরনের সহায়তা করতে সদা প্রস্তত ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফিলিপাইনের অর্থনীতির সংস্কার, অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং দুর্নীতি ও অপরাধ মোকাবিলাই এবারের নির্বাচনী প্রচারণার মূল বিষয় ছিল। এছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সঙ্গে সীমানা বিরোধও ছিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এজেন্ডাগুলোর মধ্যে একটি। রডরিগো দুদার্তে তার নির্বাচনী প্রচারের দৃষ্টি নিবন্ধিত করেছিলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর। তবে এ সময় বেশ কিছু বিতর্কিত বক্তব্যও দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে একটি হলো, তিনি অপরাধীদের জন্য জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। উল্লেখ্য, রডরিগো গত ২২ বছর ধরে দাভাও শহরের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। অপরাধীদের বিষয়ে কঠোর হওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে তাকে ‘দ-নায়ক’ বলে ডাকা হতো। এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন