বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সিপিইসির অবস্থান ব্যাপকভাবে সংহত

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

আঞ্চলিক কানেকটিভিটি জোরদার করার প্রয়াসে নির্মিত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) অবস্থান ব্যাপকভাবে সংহত হয়েছে। সউদী আরব এ প্রকল্পে যোগদান করায় এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল শোধনাগার প্রকল্পে তহবিল সংস্থান করার ব্যাপারে সম্মতি দেয়ায় এ অবস্থানে পৌঁছে। ইসলামাবাদ ও বেইজিং উভয়েই এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে। আর বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি বিশ্ববাজারে সউদী আরবের প্রবেশের সুযোগ বাড়াবে। সিপিইসির তৃতীয় অংশীদার হতে সউদী আরবকেই প্রথম আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তান ও চীন এখন পর্যন্ত সিপিইসি থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হলেও সউদী আরব গোয়াদার বন্দরে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারবে। চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করা হয় যে সউদী আরামকো গোয়াদার বন্দরে একটি তেল শোধনাগার নির্মাণ করতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে সউদী ক্রাউন প্রিন্সের পাকিস্তান সফরের সময় আনুষ্ঠানিক চুক্তিটি সই করা হবে। গত ১২ জানুয়ারি সউদী আরবের জ্বালানিমন্ত্রী খালিদ আল ফলিহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সর্বশেষ অবস্থা দেখতে গোয়াদার বন্দর সফর করেন। তারা তেল শোধনাগারের জন্য নির্ধারিত স্থানটিও পরিদর্শন করে। পাকিস্তানি মন্ত্রী ও পাকিস্তান বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান হারুন শরিফ বলেন, কাজের অগ্রগতি দেখে সউদী প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট হয়েছে। পাকিস্তানি কর্মকর্তারাও বলেছেন, একটি সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত হয়েছে, প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সফরের সময় তাতে সই হবে। তারা বলছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কাজটি চূড়ান্ত করছে। এদিকে পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন লিজিয়ান ঝাও আল আরাবিয়াকে বলেছেন, পাকিস্তান ও চীনই সিপিইসি প্রকল্পটি নির্মাণ করেছে। তবে যেকোনো দেশ এতে যোগ দিতে পারে। তিনি বলেন, তবে সিপিইসির নিয়ন্ত্রণ থাকবে পাকিস্তান ও চীনের হাতে। ইসলামাবাদভিত্তিক পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও ভূ-কৌশলগত বিশেষজ্ঞ ঘারিদা ফারুকি বলেন, সিপিইসিতে সউদী আরবের সম্পৃক্ততার ফলে কেবল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেই পরিবর্তন ঘটাবে না, সেইসাথে আঞ্চলিক রাজনীতিতেও প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, গোয়াদার বন্দরের দিকে সউদী আরবের দৃষ্টি পড়ার অন্যতম কারণ হলো ইরান ও চাবাহার বন্দরের বিপরীতে এর ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। আর পাকিস্তানের প্রয়োজন বিনিয়োগ, চাকরির সুযোগ। সিপিইসিতে চীন কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈশ্বিক বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অংশ। এই প্রকল্পের ফলে পাকিস্তানের পরিবহন নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্প্রসারিত হচ্ছে, আরব সাগরে গোয়াদার গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। এসএএম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন