অনেকেই রাতে একটানা ভাল ঘুম না হওয়া। সারা রাত বিছানায় এ পাশ ও পাশ করে কাটিয়ে দেয়া। কখনো কখনো ঘুমের ভাব থাকলেও ঘুম না আসা প্রভৃতি সমস্যার শিকার। অনিদ্রাজনিত অসুখের হাত ধরেই ওজন বাড়া, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের অসুখ ইত্যাদি নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়।
নিয়মিত ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাসও অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম নয়। দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে এক সময় এই ঘুমের ওষুধের প্রতি নির্ভরতা এতই বেড়ে যায় যে তার সাহায্য ছাড়া ঘুমানোর কথা ভাবতেও পারেন না অনেকেই।
আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনে উদ্বেগ ও নানা ব্যস্ততার জেরে রাতের ঘুমের সময়সীমা কমে পাঁচ-ছ’ঘণ্টায় এসে ঠেকেছে অনেকেরই। তার মধ্যে যদি অনিদ্রা হানা দেয়, তবে সারা দিনের কাজে যেমন তার প্রভাব পড়ে, তেমনই ক্ষতি হয় শরীরেরও। কিন্তু বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনলেই রাতের ঘুমের জন্য আর অপেক্ষার প্রয়োজন পড়বে না। এখানে দেয়া নিয়মগুলো মেনে চললে রাতের ঘুম অনেকটাই সহজলভ্য হতে পারে আপনার কাছে।
গরম পানিতে গোসল : ঘুমানোর দু’ঘণ্টা আগে গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস করতে পারেন। গরম পানি শরীরের কোষগুলির ক্লান্তি সরায় ও স্নায়ুগুলিকে শান্ত করে। দেহের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হয় এই গোসলের মাধ্যমে। ফলে ঘুম আসবে সহজেই।
ম্যাসাজ : মন ও শরীরকে শান্ত রাখার অন্যতম উপায় ম্যাসাজ। উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা সরিয়ে ঘুম আনতে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে এটি। তাই ঘুমের ঘণ্টা খানেক আগে ম্যাসাজ নিলে তা ঘুমের জন্য উপযোগী হতে পারে।
গরম দুধে মধু : গরম দুধে মধু মিশিয়ে তা খেলেও ঘুমের সমস্যা মেটে। দুধে থাকা ট্রাইটোফ্যান স্নায়ু ও কোষকে শিথিল করে ঘুম আসতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে মধু যোগ হওয়ায় ঘুমের ঘনত্বও বাড়ে।
অভ্যাস ত্যাগ : ঘুমের ঘণ্টা চারেক আগে কফি, সিগারেট ও মদ্যপানের স্বভাব (যদি থাকে) ত্যাগ করুন। এ সবে শরীরে পানির চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্নায়ু উদ্দীপ্ত হয় ও ঘুমের আমেজ দ্রুত নষ্ট হয়।
ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার : ম্যাগনেশিয়াম উদ্বেগ কমাতে বিশেষ কার্যকর। তাই ডায়েটে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখার পাশাপাশি, গাসলের পানিতে এক কাপ ম্যাগনেশিয়াম পাউডার যোগ করতে পারেন। এতে ক্লান্তি দূর হয়ে ঘুম আসে দ্রুত।
আলো নিভানো : ঘুমানোর আগে আলো নিভিয়ে সুগন্ধি স্প্রে করে ঘরকে ঘুমের উপযুক্ত করে তুলুন। কেবল তাই নয়, নিবিড় ঘুম আনতে ঘুমের আগে মোবাইল ব্যবহার ও টিভি দেখার অভ্যাসও করুন। সূত্র : আনন্দবাজার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন