ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিপ্লবী গার্ডের একটি বাসে বুধবার আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় ২৭ সৈন্য নিহত হয়েছে। দেশটিতে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এটি ছিল এলিট ফোর্সের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
বিপ্লবী গার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্ত টহল মিশন থেকে সৈন্যরা ফিরে আসার সময় এ হামলা চালানো হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এই সন্ত্রাসী হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের ২৭ যোদ্ধা নিহত ও ১৩ জন আহত হয়। এ হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের সমর্থন দেয়া বিশ্ব কর্তৃত্ব ও ইহুদিবাদী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দায়ী করা হয়।’
এর আগে ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা আইআরএনএ জানায়, ‘খশ-জাহেদান সড়কে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সৈন্যদের একটি বাসে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স পরিবেশিত এক ছবিতে রাস্তার পাশে একটি বাসকে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বাসটি এমনভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে যে এটি চেনাই যাচ্ছিল না।
গার্ড জানায়, ‘সৈন্যদের একটি বাসের পাশে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি উড়িয়ে দিলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।’ তারা আরো জানায়, বিশ্বে দাম্ভিকতা ও কর্তৃত্ব বজায় রাখা ব্যক্তিবর্গ বা দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভাড়াটেরা ইসলামি বিপ্লবের ৪০তম বার্ষিকীর বিজয় উৎসব ঠেকাতে এ হামলা চালায়।’
ইরান পশ্চিমাপন্থী শাহ’র উৎখাত এবং ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে নির্বাসনে থাকার পর ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি তেহরানে ফিরে আসার ৪০তম বার্ষিকী পালন করছিল। সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ জানায়, ২০১২ সালে গঠিত জিহাদি গ্রুপ জাইশ আল-আদল এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। সাইট জানায়, ইরানে সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে কালো তালিকাভূক্ত জাইশ আল-আদল ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি চালানো এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। পারস্য ভাষায় দেয়া এক বার্তায় তারা এ দায়িত্ব স্বীকার করে। সূত্র : এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন