শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাখাইনে হেডকোয়ার্টার্স স্থাপন করতে যাচ্ছে আরাকান আর্মি

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দেশটির উত্তর রাখাইনে খুব শিগগিরই তাদের অস্থায়ী হেডকোয়ার্টার্স স্থাপন করতে যাচ্ছে। সশস্ত্র গ্রæপটির প্রধান মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং এক ভিডিওতে এ কথা জানিয়েছেন।

বার্মিজ গণমাধ্যম ইরাওয়াদ্দি দাবি করছে, আরাকানের গ্রামবাসীর মধ্যে ভাষণ দেওয়া সংক্রান্ত মিয়াতের ওই ভিডিও তাদের হাতে এসেছে। আরাকানি ভাষায় দেওয়া ওই ভাষণ গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রচার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, এএ প্রধান যেসব আরাকানি বিদেশে অবস্থান করছে তাদের রাখাইনে ফিরে আসার বার বার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং তাদেরকে ওই অঞ্চলের ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্টে, তার ভাষায়, অংশ নেওয়ার কথা বলছেন।
প্রসঙ্গত, এ নিয়ে চলতি মাসে দুটি এ সংক্রান্ত ভিডিও প্রচার করলো আরাকান আর্মি। এর আগে গত সপ্তাহে গ্রুপটির উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিয়ো তুন অং একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।

ইরাওয়াদ্দি বলছে, বেশ কিছু সূত্র ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভিডিওতে এএ প্রধান জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, রাখাইনে সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ শুধু একটি সশস্ত্র সংঘাত নয়, বরং সমস্ত আরাকানি জনগণ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংগ্রাম। মিয়াত বলেন, ‘আমি পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করি, আরাকানের জনগণ ও এএ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করবে। আমরা বার বার এটাও বলছি যে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সমগ্র আরাকানি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।’

এর আগে সশন্ত্র সংগ্রামের কারণে আরাকানের অনেক বাসিন্দা অন্যান্য রাজ্য কিংবা বহির্বিশ্বে চলে গেছে। তাদের ফেরত এসে সংগ্রামে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মিয়াত বলেন, সে যুগ চলে গেছে। আরাকান আর্মির মাঠ পর্যায়ের কমান্ডার ও সমর্থকরা আগ্রহীদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করছেন। চ‚ড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এএ প্রধান। উপস্থিতদের মধ্যে কারা আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগ দিতে চান- মিয়াত তা জানতে চাইলে প্রায় এক শ’ গ্রামবাসী হাত তুলে তাদের আগ্রহের কথা জানান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নৃতাত্তি¡ক সশস্ত্র গোষ্ঠীদের নিয়ে গবেষণা করা ইউ মং মং সোয়ে বলেন, আরাকান আর্মির যে ‘২০২০ আরাকান স্বপ্ন’ রয়েছে তার অংশ হিসেবেই উত্তর রাখাইনে এই হেডকোয়ার্টার্স স্থাপন করতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এএ রাখাইনে একটি শক্ত ঘাঁটি স্থাপনের চেষ্টা করছে এবং সম্ভবত তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু হামলা চালাবে ও ২০২০ সালের দিকে রাজনীতিতে প্রবেশ করবে।’
আরেক রাজনীতি বিশ্লেষক কো ওয়াং অং বলেছেন, আরাকান আর্মি রাজনৈতিক ও সামরিক উভয় দিক থেকেই মাঠে তাদের স্বপ্ন যৌক্তিক ও ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলছেন, এএ ও আরাকানিরা যেহেতু পারস্পারিক সহানুভ‚তি প্রকাশ করছে সেহেতু রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র সংগ্রামের বড় ধরনের রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে ভবিষ্যতে। সূত্র : দ্য ইরাবতি নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
jack ali ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:৫২ পিএম says : 0
May Allah defeat and humiliate burmis barbarian Army--InshaAllah
Total Reply(0)
Ak mong ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৪ এএম says : 0
ভালো
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন