প্রতিনিধিদের বিমানবন্দর থেকে সম্মেলনস্থলে আনা-নেওয়ার জন্য প্রায় ৩০০টি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেছিল পাপুয়া নিউগিনি। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা এপেকের সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল পাপুয়া নিউগিনি। এই দ্বীপরাষ্ট্রটির অবস্থান দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে। নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যেও এত বড় আন্তর্জাতিক আয়োজনে বাহবা কুড়াতে কমতি রাখেনি দেশটি। তারা এপেকের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের বিমানবন্দর থেকে সম্মেলনস্থলে আনা-নেওয়ার জন্য প্রায় ৩০০টি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেছিল। কিন্তু সম্মেলন সফলভাবে শেষ হলেও গাড়িগুলো আর ফেরত আসেনি কর্তৃপক্ষের কাছে।
পাপুয়া নিউগিনির পুলিশ প্রায় তিন মাস পরও সব গাড়ি উদ্ধার করতে পারেনি। আমদানি করা এসব বিলাসবহুল গাড়িবহরে ৪০টি মাজেরাতি কোয়ার্তোপর্তে ও তিনটি সুপার-লাক্সারি বেন্টলি ফ্লাইং স্পার ছিল। এগুলোর একেকটির দাম ২ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বেশি। বাকি গাড়িগুলোর মধ্যে টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার, ফোর্ড, মাজদা, মিতসুবিশি পাজেরো কী ছিল না! অথচ দেশজুড়ে মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে পোলিও, বেড়েছে যক্ষা। চিকিৎসা, শিক্ষাসহ সব সরকারি খাতের সঙিন অবস্থা। গত অক্টোবরে বিমানবন্দরে খালাস করা বিলাসবহুল গাড়িগুলোর ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমন ব্যয়ের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে হাজার হাজার লোক। বিরোধী দল একে সরকারের ‘বড় ধরনের জোচ্চুরি’ বলে অভিহিত করে।
সূত্র : গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন