পিএনএস আসলাত এবং সাইফ ৪৫০০ গজ দূরের একটা টার্গেট বয়াকে লক্ষ্য করে প্রধান কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ করে। মাথার উপরে এ সময় হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছিল এবং আরব সাগরে যুদ্ধজাহাজগুলো মহড়া দিচ্ছিল। পাকিস্তান নৌবাহিনীর আয়োজিত আমান-১৯ নৌ মহড়ার শেষ দিনের কর্মসূচি এভাবেই শুরু হয়। ৪৬ দেশের নৌবাহিনীর অংশগ্রহণে আয়োজিত এই মহড়া পাকিস্তান নৌবাহিনীকে শুধু আরব সাগরে নয়, বরং পুরো ভারত মহাসাগরে প্রথম সারির পেশাদার নৌবাহিনীর স্বীকৃতি দিয়েছে। ভূরাজনৈতিক মানচিত্রে যেখানে বড় ধরনের মেরুকরণ চলছে, সেখানে শক্তি প্রদর্শন, আঞ্চলিক সুধারণা সৃষ্টি এবং এ অঞ্চলে পাকিস্তানের প্রভাব বিস্তারের জন্য নৌবাহনী একটা বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান নৌবাহিনী তাদের যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। চীনের কাছ থেকে আটটি সাবমেরিন এবং চারটি ০৫৪এপি ক্লাস যুদ্ধ জাহাজ কেনার ব্যাপারে সম্প্রতি চুক্তি করেছে তারা। আমান-১৯ মহড়ার শেষ দিনে, পাকিস্তান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের সাথে সাথে রয়্যাল নেভি, মার্কিন নৌবাহিনী এবং পিপলস লিবারেশান আর্মি নেভির (পিএলএএন) যুদ্ধজাহাজগুলো একসাথে মহড়ায় অংশ নেয় এবং সমুদ্রে এ যাবতকালে পরিচালিত মহড়ার মধ্য দিয়ে বাহিনীগুলোর মধ্যে যে সমন্বয় অর্জিত হয়েছে, তার একটা প্রদর্শনী করে তারা। পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ সিমুলেটেড সাবমরিন টার্গেটকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করে এবং এর মধ্য দিয়ে শেষ দিনের মহড়া শুরু হয়। মহড়ার শেষে, অংশগ্রহণকারী জাহাজগুলো প্রধান অতিথির কাছে ফ্লিটের রিভিউ পেশ করে। তুরস্কের ফ্রিগেট টিসিজি গোকসিয়াদা, পিএলএএনের কুনলুন শান এবং লুওমা হু, ব্রিটেনের এইচএমএস ড্রাগন, রয়্যাল অস্ট্রিলিয়া নৌবাহিনীর ব্যালারাট, আমেরিকান আর্লেই বার্কে শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ডেকাটুর, শ্রীলঙ্কার অফশোর টহল জাহাজ এসএলএনএস সায়ুরালা, রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর সহায়তা জাহাজ কেডি মাহাওয়াংসা এবং কেডি কস্তুরি, ইটালিয়ান নৌবাহিনীর কার্লো মার্গোত্তিনি, ওমানের রয়্যাল নৌবাহিনীর আল রাহমানি পিএনএস আসলাত, সাইফ, শামসির, খায়বার, আজমাত, আলমগীর এবং পাকিস্তান ম্যারিটাইম সিকিউরিটি জাহাজ কাশ্মীর, ঝোব, হিম্মাত ও বাসোল এই মহড়ায় অংশ নেয়। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন