শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিভিন্ন রাজ্য ছাড়ছে কাশ্মীরিরা জেকেএলএফ নেতা আটক

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিককে আটক করছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শ্রীনগরের মাইসুমার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হামলায় দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ জন সদস্য নিহত হওয়ার পর রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার কারা হয়েছে। তবে আর কাউকে আটক করা হয়েছে কি না এমন তথ্য জানা যায়নি। জেকেএলএফ প্রধান ইয়াসিন মালিককে আটক করে স্থানীয় কোঠিবাগ থানায় নিয়েছে পুলিশ। পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পর প্রথমেই বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের প্রধানকে আটক করা হলো। ২৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে অনুচ্ছেদ ৩৫-এ গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হতে চলেছে। তার আগে, কাশ্মীরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীকে হাইঅ্যালার্ট রাখা হয়েছে। তবে, ইয়াসিন মালিক ছাড়া আরও কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার গ্রেফতারি বা আটকের খবর মেলেনি। সুপ্রিম কোর্টে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৩৫ এর শুনানি হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। উল্লিখিত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাইরের কেউ কাশ্মীরে জমি বা সম্পত্তি কিনতে পারবেন না। তাছাড়া বহিরাগতদের সেখানে কোনও সরকারি চাকরি বা বৃত্তি পাওয়ারও অধিকার নেই। সম্প্রতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৩৫’র গ্রহণযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল হয়। সেই মামলারই শুনানি শুরু হবে সোমবার থেকে। আর এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের প্রধান ইয়াসিন মালিককে আটক করা হলো। অপর এক খবরে বলা হয়, দেরাদুনের একটি ছোট্ট কক্ষে একটানা দুই রাত আরও ৩০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে কাটিয়েছেন জুনাইদ আইয়ুব রাদার। বাইরে সংঘবদ্ধ একদল লোক তাদের রক্ত চেয়ে অবিরাম স্লোগান দিচ্ছে। অবশেষে এই যুবকসহ কক্ষের সবাই পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হলেন কাশ্মীর হামলার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ভারতীয়দের আক্রোশ থেকে। ভারত জুড়ে এমন দৃশ্য এখন অহরহ। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলার পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাস করা কাশ্মীরিরা প্রতিশোধ থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ওই হামলায় আধাসামরিক সিআরপি বাহিনীর ৪৪ সদস্য নিহত হয়। জুনাইদ বলেন, দেরাদুনের কাশ্মীরি লোকজন ভাড়া থাকেন এমন হোটেল, অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হয়। তারা আমাদের প্রতারক ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে গুলি করে হত্যা করার স্লোগান দেয়। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, পালিয়ে কাশ্মীরের শ্রীনগরে চলে আসতে আমাদের চারদিন সময় লেগেছে। পুলিশ ও মুসলমান ব্যবসায়ীরা আমাদের পালাতে সহায়তা করেছে। বছর দুয়েক ধরে তিনি দেরাদুনে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি বলেন, একটি কক্ষে আমরা ৩০ জন জড়ো হয়েছিলাম। সবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলাম। নিরাপদে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার আগ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা নিজেদের বাড়িতে আমাদের আশ্রয় দেন। প্রতি বছর নিজ রাজ্যের বাইরে ১১ হাজার কাশ্মীরি শিক্ষার্থী ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু পুলওয়ামার ঘটনার পর সহিংস হামলার শিকার হওয়ার আতঙ্কে তারা দলে দলে নিজ রাজ্য কাশ্মীরে চলে যাচ্ছেন। গত তিন দশক ধরে কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কাশ্মীরিদের বেধড়ক মারধর ও ভর্ৎসনা করা হচ্ছে। সংবাদভিত্তিক বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ও পুরোহিতরা প্রতিশোধ নিতে ভারতীয়দের উসকে দিচ্ছে। পুলওয়ামায় হামলার প্রতিশোধ নিতে চলতি সপ্তাহে ৪০ কাশ্মীরি নাগরিককে হত্যা করার আহ্বান জানিয়েছেন নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক। এ ছাড়া কাশ্মীর থেকে আসা কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তার দুই সহকর্মী। এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
নূরুল্লাহ ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:৫৪ এএম says : 0
সাবাস মোদি, কী কুৎসিত তোমার রাজনীতি!!
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন