শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ১৫০ কাশ্মীরি গ্রেফতার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার পর পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে এ পর্যন্ত ১৫০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। হামালার পর পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। সেনাবাহিনীকে যে কোনো হামলার ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাশ্মীরে জরুরি ভিত্তিতে ১০ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের নির্দেশনা দেয়। শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে কয়েকজন স্বাধীনতাকামী নেতাসহ ১৫০ জন কাশ্মীরিকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনার পর শুক্রবার রাতেই বিমানে ১০ সহস্রাধিক সেনাসদস্যকে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান- এমন তথ্য প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর এ সেনা মোতায়েন করা হয়। খবর আল-জাজিরার। এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, আমাদের সংগ্রাম কাশ্মীরিদের জন্য, তাদের বিরুদ্ধে নয়। কাশ্মীরে শুক্রবার রাতেই অতিরিক্ত ১০০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী পাঠায় ভারত। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক রাতের ভেতর এত বিশাল সংখ্যক কাশ্মীরিকে আটকে কারণ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। মে মাসের ওই নির্বাচনের সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতেই সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে। সর্বপ্রথম গ্রেফতার করা হয়েছে কাশ্মীরি নেতা ইয়াসিন মালিককে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ গাড়ি বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বাহিনীটির অন্তত ৪০ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। হামলার পর জইশ-ই-মোহাম্মদ নামের জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে। ভারত হামলার জন্য দায়ি পাকিস্তানকে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দিয়েছে পাল্টা হামলা চালানোর স্বাধীনতা। অন্যদিকে পাকিস্তান মনে করে, গোয়েন্দা নজরদারিতে ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাই এই হামলার জন্য দায়ি। রয়টার্স মনে করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কাশ্মীর হয়ে উঠতে যাচ্ছে প্রধান ইস্যু। যেখানে কর্মসংস্থান ও কৃষক অসন্তোষ বিজেপি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য পরিস্থিতি কিছুটা অসুবিধাজনক করে তুলেছিল, সেখানে এখন পুলওয়ামা হামলার দিকে সরে গেছে সবার মনোযোগ। হামলার ঘটনার পর মোদি দায়িদের বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেনাবাহিনীকে দিয়েছেন যেকোনও ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি। শনিবার সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা বরদাশত করা হবে না। আল-জাজিরা, এনডিটিভি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন