শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেবে ফিলিপাইন

প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের বাস্তব পদক্ষেপ চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৯, ১২:১১ এএম

মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। তিনি বলেন, আমি রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে আগ্রহী। দেশটির বেসরকারি সংবাদমাধ্যম জিএমএ অনলাইনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত বছরের জানুয়ারিতে প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়। গত ৬ জুন নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে নানা জটিলতায় এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। গত বছর এপ্রিলে দুতার্তে বলেছিলেন, ‘গণহত্যা’ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত ফিলিপাইন। প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সরকার জানিয়েছিলো দুতার্তের মিয়ানমার সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। এরপর অবশ্য মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট। এরপর প্রেসিডেন্টের সাবেক মুখপাত্র হ্যারি রোক গত বছর বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো অবকাঠামো ফিলিপাইনের রয়েছে। তাদের জন্য ‘দরজা খোলা’ রাখার নীতিই অবলম্বন করবেন সরকার। অপর এক খবরে বলা হয়, স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানজনক উপায়ে সব রোহিঙ্গা ফেরার অধিকারকে সম্মান দেখাতে মিয়ানমার সরকারকে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসে দেশটির সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মসূচি ও নীতি তত্তাবধান কমিটির শুনানীতে এই আহ্বান জানানো হয়। বুধবার এই শুনানিতে ইউএসএআইডির প্রশাসক মার্ক গ্রিন রোহিঙ্গা সংকটকে ভেনেজুয়েলা সংকটের সঙ্গে তুলনা করেন। গত বছর ঢাকার সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করে গ্রিন জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশকে আমেরিকার শ্রদ্ধা পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। মার্কিন কংগ্রেসেরে শুনানিতে বুধবার ইউএসএআইডির প্রশাসক মার্ক গ্রিন বলেন, বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তেই আমরা মানবিক সংকট প্রত্যক্ষ করছি। রোহিঙ্গাদের ঘটনা আরও বেশি বেদনাদায়ক এই কারণে যে এর পুরোটাই মানুষের সৃষ্ট, একই পরিস্থিতি ভেনেজুয়েলারও। গত বছরের ঢাকা সফরের উল্লেখ করে কংগ্রেসের তত্তাবধান কমিটিকে গ্রিন বলেন, শুধু খাবার বা স্বাস্থ্যসেবা নয় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া মানবিক সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় সমর্থন দিতে তাদের উৎসাহিত করেছি। যাতে তারা শিক্ষা, আবহাওয়া উপযোগী আশ্রয় এবং জীবিকার সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। মার্কিন কংগ্রেসকে তিনি জানান, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে মিয়ানমারের দশ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরটিও বাংলাদেশে অবস্থিত বলে জানান তিনি। গ্রিন জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশটিতে থাকা শরণার্থীদের জরুরি খাবার ও পুষ্টি সহায়তা অব্যাহত রেখেছে ইইএসএইআইডি। তিনি বলেন, উল্লেখযোগ্য মাত্রায় জনসংখ্যা বেড়ে গিয়ে স্থানীয়দের ওপর যেন অতিরিক্ত বোঝা তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতেও কাজ করছি আমরা। রয়টার্স, এএফপি, সিএনএন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন