শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শরণার্থী শিবিরেই জন্মেছেন নারী সাংবাদিক রায়ান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৯, ৬:৫৪ পিএম

রায়ান সুক্কর জন্মেছেন ও বেড়ে উঠেছেন লেবাননের শাতিলা শরণার্থী ক্যাম্পে। ২৪ বছর বয়সি এই নারী এখন সাংবাদিক হিসেবে শরণার্থীদের জীবনযাত্রা তুলে ধরেন। তিনি দুই বছর ধরে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ক্যাম্পজি’তে কাজ করছি। অন্যান্য শরণার্থী ক্যাম্প থেকেও রিপোর্ট করেন। শাতিলার শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৪০,০০০ মানুষের বাস। ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা আছেন এখানে। এছাড়া গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা সিরীয় শরণার্থীদের সংখ্যাও অনেক।
রায়ান সুক্কর বলেন, ‘আমরা একসাথে আমাদের আইডিয়া এবং বিষয় খুঁজে বের করি। আমরা শরণার্থীদের জীবনযাত্রা, তাদের নানা সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করি। কারণ আমরা শাতিলায় বাস করি বলে অন্য শরণার্থীদের উদ্বেগ সম্পর্কে ভালো করেই জানি এবং তা বুঝতেও পারি। আর এ কারণেই আমাদের ‘নাগরিক সাংবাদিক’ বলা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন কিছু আইডিয়ার কথা সাপ্তাহিক মিটিংয়ে জানাই, তারপর আমাদের সেই আইডিয়া বা প্রস্তাবগুলো নিয়ে টিমের সবার সাথে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
বর্তমানে তিনি শুটিং করছেন আল-জলিল শরণার্থী ক্যাম্পে। এটি অভিবাসন সম্পর্কে। অনেকেই ক্যাম্প ছেড়ে অন্য দেশে জীবন শুরু করতে যায়। তাই তারা শুটিং করার জন্য যান। শুটিং-এর প্রযুক্তিগত দিকটি দেখেন সামি নামের আরেক সাংবাদিক। আর তিনি সামগ্রিক দিকটি তুলে ধরেন।
রায়ান বলেন, ‘আমরা শরণার্থীদের সাথে কথা বলতে, তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে মতামত জানতে ভীষণ আগ্রহী। যেমন আমরা বাসেল নামের এক শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা যখন শুটিং করেছিলাম তখন নিজে থেকে এসে আমাদের সঙ্গে শরণার্থী জীবন নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। ক্যাম্পে বসবাসকারী অনেকের জীবনেই উত্তেজনাপূর্ণ গল্প রয়েছে। একটি শরণার্থী ক্যাম্পে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সহজ কাজ নয়, যাদের ভিন্ন ভিন্ন মত বা অন্যরকম চিন্তাভাবনা রয়েছে। তাছাড়া ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘোরাফেরা করা আমাদের পক্ষে সবসময় সম্ভবও নয়।’ সূত্র: ডয়চে ভেলে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন