অনেক প্রতিবন্ধী শিশু আছে যাদের জন্য তার বাবা মায়ের আজীবন চোখের পানি ফেলতে হয।মায়ের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অসতর্কতায় জন্ম নেওয়া শিশু শারীরিক ও মানসিক ভাবে দূর্বল ও স্বল্পবুদ্ধি হয়। বয়সের সাথে সঠিক বিকাশ হয়না তার।বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিবন্ধী শিশুরা কোনো এক সময়ে পরিবার ও সামাজের কাছে বোঝা হয়ে ওঠে। কিন্তু যদি একটু সতর্ক হওয়া যায় এবং কিছু নিয়ম নিতি মেনে চলা হয় তবেই এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আসুন জেনে নেয়া যাক প্রতিবন্ধী শিশু জন্মাবার কিছু কারন।
১। গর্ভাবস্থায় শিশুর মা যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নানা প্রকার ঔষধ খেতে থাকে তা শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। অনেক ঔষধ ভ্রুনের অঙ্গ সৃষ্টিতে বাঁধার সৃষ্টি করে ফলে শিশু যে কোন ধরনের বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে।
২। মা যদি গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে শিশুর অক্সিজেনের অভাব ঘটতে পারে, ফলে শিশু মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
৩। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে মা যদি যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, জার্মানহাম, চিকেনপক্স, মাম্পস, রুবেলা ভাইরাস, এইডস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হন তবে গর্ভস্থ শিশুর উপর তার প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়। এর ফলে শিশু শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ ও মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। এ ছাড়া মায়ের ডায়াবেটিস, উচ্চরক্ত চাপ, কিডনির সমস্যা, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা প্রভৃতি শারীরিক অবস্থায় গর্ভস্থ শিশু প্রতিবন্ধী হতে পারে।
৪। মায়ের বয়স যদি খুব অল্প হয় অথবা খুব বেশি হয় অর্থাৎ যদি ৪০ বছরের বেশি হয় তাহলে শিশুর জন্মের সময় ঝুঁকি থেকেই যায়।
৫। শিশু জন্মের সময় মাথায় জোড়ে আঘাত পেলে সেই শিশু হতে পারে প্রতিবন্ধী। শিশু ছোটো বেলায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেলেও সমান সমস্যা হতে পারে।
৬। মা যদি Rh পজেটিভ আর বাবা যদি Rh নেগেটিভ হয় তা হলে গর্ভস্থ সন্তানের Rh পজেটিভ বা নেগেটিভ হতে পারে। মা ও সন্তানের Rh উপাদানের মধ্যে যদি মিল না থাকে তবে তাকে Rh অসংগতা Rh Incompatibility বলা হয়। এতে মৃত সন্তান হয়। আর যদি শিশু বেঁচে যায় তাহলে মস্তিস্কের ত্রুটি নিয়ে জন্মায়।
একটু সচেতন হলে শিশুর জন্মের পরেই যদি প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দিলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব। সচেতনতার দ্বারা আমরা ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী হীন সমাজ গড়ে তুলতে পারব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন