ইনকিলাব ডেস্ক : পেন্টাগন দাবি করেছে, সিরিয়া থেকে রাশিয়া আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরও সেখানে মোতায়েন রুশ সামরিক শক্তি তেমন হ্রাস পায়নি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে আংশিক সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে গত মার্চে ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। বাগদাদভিত্তিক মার্কিন সামরিক মুখপাত্র কর্নেল স্টিভ ওয়ারেন বলেন, সত্যি কথা বলতে কি, সিরিয়ায় মোতায়েন রুশ সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা আগের মতই রয়েছে বা আগের কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে। দেশটিতে রাশিয়ার বিমান, পদাতিক বাহিনী এবং গোলন্দাজ বাহিনীর শক্তি আগের মতই রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্পেৎসনাজ বা রুশ কমান্ডো দল এখনো সিরিয় বাহিনীকে পরামর্শ এবং সহযোগিতা দিচ্ছে। ওদিকে, একের পর এক হামলা ও হত্যার ঘটনা বেড়েই চলছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায়। এমন পরিস্থিতে দেশটিতে সহিংসতা বন্ধ করে মানবাধিকার ও শান্তি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। গত মঙ্গলবার (১৭ মে) অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তারা এ আহ্বান জানান। লিবিয়া ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের শান্তি আলোচনার একদিন পরেই বৈঠকটি অনুতি হলো। বৈঠকে অংশ নেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূতসহ ১৭টি দেশের প্রতিনিধি। দেশটিতে শান্তি রক্ষার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা কারারও আশ্বাস দেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, ভিয়েনায় বিশ্বনেতাদের সমাবেশ ছিল একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ। যে চ্যালেঞ্জের আমরা মুখোমুখি হয়েছি, সেটা বাস্তাবায়নের সম্ভাবনা বাড়বে। এদিকে, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সরাতে সরকার বিদ্রোহীরা দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই অব্যাহত রেখেছে। সে দাবির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রেরও সমথর্ন রয়েছে। অপরদিকে, আসাদ সরকারের পাশে রয়েছে রাশিয়া ও ইরান। এ অবস্থায় দেশটিতে শান্তি বিষয়ক আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে সেটাই এখন প্রশ্ন। রেডিও তেহরান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন