আমি জানি যে থাইল্যান্ডের বর্তমান জান্তা ক্ষমতায় থাকতে চায়। সে জন্য রোববার তারা সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে। আর যেভাবে এ জালিয়াতি করেছে তা অবিশ্বাসাব্য। এ সরকার যে নজির স্থাপন করেছে তাতে আমি বিস্মিত। আমি একা এর শিকার নই। তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করতে প্রস্তুত।
নির্বাচন কমিশন রোববার রাতে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ বন্ধ করে দেয়। তারা ঘোষণা করে যে সোমবার বিকেল পর্যন্ত তারা ফল ঘোষণা স্থগিত রাখছে। ভোটের যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল তাতে পরিবর্তন করা হচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যায়, যখন আমি এ লেখা লিখছি, তখনো ভোটের প্রাথমিক সরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। আধুনিক থাইল্যান্ডের ইতিহাসে এ ধরনের বিলম্ব আর কখনো হয়নি। এটা পরিষ্কার যে জান্তা ভীত।
কিছু এলাকায় ব্যালটের সংখ্যা ভোটারদের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। অন্য কথায় ভোটার উপস্থিতি ছিল ২০০ শতাংশ। জাতীয় নির্বাচন কমিশন কিছু আসনের ফল ঘোষণা করেছে যা ভোট কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের ঘোষণা করা সংখ্যার সাথে মেলে না। বিপুল সংখ্যক সন্দেহকৃত ব্যালট বাতিল করা হয়েছে। এ খবরও আছে যে সঠিকভাবে সিল না দেয়া সত্তে¡ও কিছু ব্যালট সামরিক সমর্থিত পালাং প্রচারাত দলের পক্ষে গণনা করা হয়েছে। (থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার এ অভিমতটি ২৫ মার্চ দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়।)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন