ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন গণমাধ্যমের জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান ভোটারদের বেশিরভাগই তাদের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পেছনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান। বিভিন্ন সময় ট্রাম্পের বিতর্কিত কথাবার্তায় রিপাবলিকানদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গিয়েছিলো। কিন্তু সাম্প্রতিক এ জরিপ তা ভুল প্রমাণ করেছে। ভোটাররা ট্রাম্পের সঙ্গেই থাকতে চান।
আগামী জুলাই মাসে উভয় দলের প্রার্থী মনোনয়ণ চূড়ান্ত হবে। দুই দলের জন্যই সেটি হবে খুব কঠিন একটি বিষয়। কারণ, মিস্টার ট্রাম্প এবং মিসেস ক্লিনটনÑ উভয়কেই ভোটারদের বড় একটি অংশ অপছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে জুলাইয়ের মনোনয়ন সম্মেলন অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা উতরানো কঠিনই হবে বলে জরিপে বলা হচ্ছে। দু’ দলকেই এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ মেরামত কাজ করতে হবে। তাদের মনে রাখতে হবে এটা কোন যেনোতেনো নির্বাচন নয়। ট্রাম্প ও হিলারির অজনপ্রিয়তার এই মাত্রা বড় দল দু’টির মধ্যে বিরল ঘটনা। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার তাদের অপছন্দ করেন। রিপাবলিকান ভোটাররা বলেন, ট্রাম্প সৎ নন এবং তার ওপর আস্থা রাখা যায় না। ডেমোক্রেটদেরও অনেকেই হিলারি সম্পর্কে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। ভোটারদের বড় একটি অংশের আরও অভিযোগ হচ্ছে, উভয় প্রার্থির কেউই তাদের চিন্তাভাবনা জনগণের সাথে শেয়ার করছেন না। ভোটারদের এই অবস্থা বেশি ভোগাবে ট্রাম্পকে। এখনই যদি নির্বাচন হয়, তাহলে ৪৭ শতাংশ ভোটার ভোট দেবেন মিসেস ক্লিনটনকে এবং ৪১ শতাংশ ট্রাম্পকে। হিলারি আরও এগিয়েছিলেন। সেটা অনেকটাই কমে গেছে গত মাসে ট্রাম্পের মনোনয়ন আনেকটা নিশ্চিত হওয়ার কারণে। গত মাসে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন। দলীয়ভাবে রিপাবলিকানদের মধ্যে স্যান্ডার্স ট্রাম্পের চেয়ে ৫১-৩৮ শতাংশ ব্যাবধানে এগিয়ে আছেন। রিপাবলিকান ভোটাররা মনে করেন, ট্রাম্পই এখন তাদের মন্দের ভালো ও সম্ভাব্য প্রার্থী এবং দলও সেটাই মনে করে বলে তাদের ধারণা। তাই তারা ট্রাম্পের পিছু নিয়েছেন। প্রতি দশ জনের মধ্যে আটজন রিপাবলিকান ভোটার মনে করেন, যদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে একমত না-ও হন, তবুও নেতৃবৃন্দের উচিত হবে ট্রাম্পকে সমর্থন দেয়া। রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে গত মাসে ট্রাম্পের বিপক্ষে ছিলো ১৫ শতাংশ। বর্তমানে তা আছে ২১ শতাংশে। গত এপ্রিলে এ সংখ্যাটি ছিলো ৩৬ শতাংশ। দলের বেশকিছু নীতিনির্ধারক এখনো ট্রাম্পের বিপক্ষে থাকলেও সাধারণ ভোটাররা ট্রাম্পের পক্ষে দলীয় ঐক্য আশা করছেন। হাউজ স্পিকার পল ডি রায়ান এখনো ট্রাম্পের বিপক্ষে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে আরও ক্ষমতাধর রিপাবলিকান নেতারা এখনো ট্রাম্পের বিকল্প হিসেবে তৃতীয় কাউকে খুঁজছেন। কিছুদিন আগেও দলের প্রভাবশালী সদস্য সিনিয়র ও জুনিয়র বুশ ট্রাম্পের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন। এসব সত্ত্বেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আরকানসাসের ওসিলোয়ার ৭৬ বছর বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ডেলোরেস স্টকেট জানান, আমি তাকে ভোট দেবো কারণ, তার বিকল্প যারা আছেন, তারা আরও কম গ্রহণযোগ্য এবং আমি মনে করি, ঠিক একই কারণে রিপাবলিকান নেতৃবৃন্দেরও উচিত তাকে সমর্থন করা। তিি বলেন বিকল্প যারা আছেন তারা আমাদের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গী থেকে অনেকটাই দূরে। নিউইয়র্ক টাইমস, সিবিএস নিউজ।
মন্তব্য করুন