শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তিন বছরের যতো বিমান দুর্ঘটনা

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত তিন বছরে একের পর এক বড় বড় বিমান দুর্ঘটনার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ঘটল এয়ার ইজিপ্টের বিমান নিখোঁজের ঘটনা। মিশরীয় এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো রহস্যাবৃত। তবে এর আগের বিমানগুলোর কোনটি খারাপ আবহাওয়া, হামলা কিংবা পাইলটের দোষে বিধ্বস্ত হয়েছে। মার্চ ১৯, ২০১৬- সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যাত্রীবাহী একটি বিমান খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে রাশিয়ায় অবতরণ করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয় ৬২ আরোহী। অক্টোবর ৩১, ২০১৫- মিশরের শারম এল শেইখ থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার পথে মেট্রোজেট ফ্লাইট ৯২৬৮ ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর বোমা বিস্ফোরণে সিনাই উপদ্বীপে মাঝআকাশে বিধ্বস্ত হয়ে ২২৪ আরোহীর সবাই নিহত হয়। মার্চ ২৪, ২০১৫-- জার্মানউইংস ফ্লাইট ৯৫২৫ স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ডুসেলডোরর্ফ যাওয়ার পথে ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হয়ে ১৫০ আরোহীর সবাই মারা যায়। বিমানের কো-পাইলট আন্দ্রেজ লুবিৎজ ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি ধ্বংস করেন বলে তদন্তে জানা যায়।
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৫-ট্রান্সএশিয়া এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ২৩৫ তাইওয়ানের রাজধানী তাইপের একটি নদীতে বিধ্বস্ত হয়ে ৫৮ আরোহী নিহত হয়। বিমানটির একটি ইঞ্জিন বিদ্যুৎশূন্য হয়ে পড়ার পর পাইলট ভুলবশত আরেকটি সচল ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে।
ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪-এয়ারএশিয়া ফ্লাইট ৮৫০১ ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া শহর থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে হঠাৎ যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে জাভা সগরে বিধ্বস্ত হয়ে ১৬২ আরোহীর সবাই নিহত হয়। জুলাই ২৪, ২০১৪-- এয়ার আলজেরীয় ফ্লাইট ৫০১৭ বুরকিনা ফাসো থেকে আলজেরিয়া যাওয়ার পথে খারাপ আহাওয়ার কারণে উড্ডয়ন পথ পবির্তন করার পরই রেডার থেকে উধাও হয়ে পরে মালিতে বিধ্বস্ত হয়। নিহত হয় বিমানের ১১৬ আরোহীর সবাই। জুলাই ২৩, ২০১৪- তাইওয়ানের ট্রান্সএশিয়া এয়ারওয়েজ ফ্লাইট জিই-২২২ প্রচ- বৃষ্টির মধ্যে পেঙ্গু দ্বীপের ম্যাগং বিমানবন্দরে অবতরণ করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে ৪৮ আরোহী নিহত হয়। জুলাই ১৭, ২০১৪- মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট এমএইচ ১৭, আমস্টার্ডাম থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ইউক্রেইনের যুদ্ধবিধ্বস্ত দোনেস্ক এ রুশপন্থি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলার শিকার হয়ে বিধ্বস্ত হয়। নিহত হয় বিমানের ২৯৮ আরোহী। মার্চ ৮, ২০১৪-- মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০, কুয়ালালাপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে রেডার থেকে উধাও হয়ে নিখোঁজ হয়। ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর মালয়েশিয়া বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এবং আরোহীরা সবাই নিহত হয়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করে। বিমানটির হদিস আজও মেলেনি। তবে উপকূলে ভেসে আসা বিমানের নানা খ-াংশ নিখোঁজ বিমানটিরই বলে ধারণা করা হয়। অক্টোবর ১৬, ২০১৩-লাও এয়ারলাইন্স ফ্লাইট কিউভি৩০১ লাওস থেকে উড়ে এসে থাই সীমান্তের কাছে একটি বিমানবন্দরে অবতরণের আগে দিয়ে পাইলটের ভুলের কারণে বিধ্বস্ত হয়ে ৪৯ আরোহীর সবাই নিহত হয়। জুলাই ৬, ২০১৩- আসিয়ানা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ২১৪ দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল থেকে উড়ে এসে সানফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনজন নিহত এবং ১৮০ জন আহত হয়। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন