বাংলাদেশসহ দুনিয়াব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা নাগরিকরা উগ্রপন্থিদের টার্গেট হতে পারে- এমন আশঙ্কায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য নতুন নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে। ৩ এপ্রিল দূতাবাসের অফিসিয়্যাল ওয়েব পেজে জারি করা সতর্কবার্তায় আশঙ্কার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশজুড়ে থাকা মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগতভাবে ৪ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঢাকায় দূতাবাসের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে জরুরি প্রয়োজনে মার্কিন নাগরিকদের যে কোন ধরণের সহযোগিতার জন্য দূতাবাস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্সের নির্ধারিত নম্বরে যোগাযোগ করতেও অনুরোধ করা হয়েছে। দূতাবাসের সিকিউরিটি এলার্ট বা নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়- নিউজিল্যান্ডের দুই মসজিদে ১৫ মার্চের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধের আহ্বান এবং আইএস ও আল-কায়েদার মতো আন্তদেশীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর দেয়া চলতি হুমকির প্রেক্ষিতে আমরা (দূতাবাস) মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনে অনুপ্রাণিত করছি। সতর্ক বার্তায় স্পষ্ট করে বলা হয়, সন্ত্রাসী সংগঠন, তাদের সহযোগী এবং এমন সব সংগঠনের কর্মকান্ডে (উগ্রপন্থায়) উদ্বুদ্ধ ব্যক্তিরা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মার্কিন ও পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর হামলার অভিপ্রায় লালন করছে। চরমপন্থীরা মার্কিন স্বার্থে আঘাতের জন্য প্রচলিত বা অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। তবে তারা ব্যাপকভাবে (সাম্প্রতিক সময়ে) জনসমাগম বা ভিড়কে টার্গেট করছে, যেন তারা কার্যকরভাবে আক্রমণ চালাতে পারে। এসব হামলায় তারা ধারালো অস্ত্র, পিস্তল ও গাড়ি ব্যবহারের মত লেস সফিস্টিকেটেড ম্যাথড বা কম বাস্তবধর্মী পদ্ধতি ব্যবহার করছে।
চরমপন্থীরা অনলাইনে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং সেখানে পশ্চিমা স্কুল, ব্যবসা ও এনজিও’র মতো ‘দুর্বল’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর আহ্বানও জানাচ্ছে। এ অবস্থায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা যাচাই করে দেখতে এবং আশপাশ সম্পর্কে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পশ্চিমাদের নিয়মিত চলাচল এবং বসবাসের জায়গায় অবশ্য সতর্ক থাকতে এবং হালনাগাদ তথ্যের জন্য স্থানীয় গণমাধ্যমে চোখ রাখতে বলা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন