রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভিয়েতনাম দিয়ে ওবামার প্রাচ্য সফর শুরু

প্রশান্ত মহাসগীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ

প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভিয়েতনাম গেছেন। স্থানীয় সময় গত রোববার রাতে দেশটির রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছান ওবামা। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা ভিয়েতনাম সফর করছেন। এই সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের মধ্যে অস্ত্র ও বাণিজ্য বিষয়ে চুক্তি হতে পারে। ওবামার সফরের মধ্যে দিয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো জোরালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসগীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র্র। এরই অংশ হিসেবে ওবামার এই ভিয়েতনাম সফর। ভিয়েতনাম সফরকালে সেখানে কয়েকটি আলোচনায় অংশ নেবেন বারাক ওবামা। ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তিতে যোগ দেওয়ায় ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধতা ছিল তা দূর করার বিষয়ে আলোচনা হবে। ভিয়েতনাম চায় দেশটির ওপর ১৯৮৪ সালে আরোপিত মার্কিন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হোক।
এদিকে, জাপানের পারমাণবিক বোমায় বিধ্বস্ত শহর হিরোশিমায় ঐতিহাসিক সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাপানিদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, আমি হিরোশিমায় ক্ষমা চাইব না। ২৭ মে হিরোশিমার নির্ধারিত সফরের কয়েকদিন আগেই জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ওবামা একথা বলেন। তিনি বলেন, যেকোন যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সে সময়ের নেতারা নিয়ে থাকেন। আর আমার হিরোশিমার সফর মূলত অতীতে ফিরে যাওয়া নয়। ইতিহাসবিদদেরও  চাওয়া ছিল হিরোশিমায় যাওয়ার। গত সাড়ে সাত বছর ধরে একজন নেতা হওয়ার পরও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে আমার অনেক সময় লেগেছে। এর আগে গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা হিরোশিমায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্ভব্য সফর ঘোষণার পর সেখানকার বাসিন্দারা কয়েক দফা বিক্ষোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমা হামলার জন্য ওবামার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করে। রাজধানী টোকিওতে গত বুধবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেঁচে থাকা কয়েকজন এক সংবাদ সম্মলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে ওবামাকে এর জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। এনএইচকে কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সারা বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আমি গত কয়েক বছর ধরে প্রচার চালিয়ে আসছিলাম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতিও হয়েছে। প্রধান প্রধান দেশগুলোও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে বিরত থাকতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
বলতে গেলে জাপানে আমার সফর মূলত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা। তবে তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী এ অভিযানে রাশিয়াকে আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করেও আমি পারিনি। তারা আমার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা বেন রোডস বলেন, প্রেসিডেন্টের সফরকালে ভিয়েতনামের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষে

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন