শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ব্রাজিল থেকে কেপ ভেরদে আফ্রিকায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত

প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আফ্রিকা মহাদেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্রতি আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দ্বীপমালা কেপ ভেরদেতে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটছে। ডব্লিউএইচও ধারণা করছে, ব্রাজিল থেকে কেপ ভেরদেতে যাওয়া এক ব্যক্তির মাধ্যমেই জিকা ভাইরাস আফ্রিকায় প্রবেশ করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এ ভাইরাস এশীয়-ধাঁচের জিকা ভাইরাস বলেই শনাক্ত হয়েছে। যে ভাইরাসটি ব্রাজিলে শিশুর জন্মগত ত্রুটির কারণে হয়েছে। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। কেপ ভেরদেতে এরই মধ্যে সাত হাজারের বেশি মানুষ জিকা ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে ১৮০ জন গর্ভবতী নারী রয়েছে। এ ছাড়া, সম্প্রতি সেখানে মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত তিনটি শিশুর জন্ম হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, জিকা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া থেকে মাত্র এক পা দূরে রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশ। জিকা ভাইরাসের সঙ্গে মাইক্রোসেফালি (ছোট মাথার) আক্রান্ত শিশু জন্মগ্রহণের সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। গবেষকদের ধারণা, গর্ভাবস্থায় কোনো নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে নাও হতে পরে। যদিও এখন পর্যন্ত এ বক্তব্যের পক্ষে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ হাতে পাননি গবেষকরা। কিন্তু গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর সেখানে মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশু জন্মের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায়।
ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিল ছাড়াও আমেরিকা মহাদেশের আরও ২০টির বেশি দেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ওই সময় কয়েকটি দেশের সরকার নারীদের গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দেয়। আফ্রিকায় ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক ডা. মাতশিদিসু ময়েতি বলেন, জিকা ভাইরাস শনাক্তের খবর আফ্রিকার দেশগুলোকে জিকা ভাইরাস বিষয়ে তাদের সতর্কতার মাত্রা পুনরায় মূল্যায়নে এবং এটি মোকাবেলায় তাদের প্রস্তুতি গ্রহণ ও বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গর্ভের শিশুর কী ধরনের জটিলতা হতে পারে সে বিষয়ে গর্ভবতী নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে আফ্রিকার দেশগুলোর সরকারের কাজ করা উচিত বলে মনে করেন ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা। মশার কামড়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। তবে এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ না করার পরামর্শ দিয়েছেন মায়েতি। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন